বাবা ঘুম থেকে উঠতেই ইন্দ্রাণী গিয়ে হাজির। সে বোধহয় তক্বে তক্বেই ছিল।
বলে ---"মেশোমশাই চা খান তো সকালে?" ----
"আরে তোমাকে ব্যস্ত হতে হবে না। এত সকালে উঠে পড়েছ কেন? কাল কখন ঘুমিয়েছ তাও জানি না। কতবার বারণ করলাম শুনলে না।"
"আমি সকালেই উঠে পড়ি। ছোট থেকেই অভ্যেস। আসছি আমি।"
ইন্দ্রাণী রান্নাঘরে যেতে যেতে হাঁক পাড়ে---" অর্ক ঘুমাচ্ছ নাকি?"
অর্কর সাড়া পাওয়া যায় না।
চা করে ইন্দ্রাণী মেশোমশাইকে দিতে দিতে বলে---" এখন কোনো ওষুধ খাবার নেই তো?"
-----"হুম খালিপেটে একটা ওষুধ খেতে হয়। ঐ বাক্সটা দাও তো দেখি।" ----
"আপনি বসুন। আমি অর্ককে ডাকি।"
ইন্দ্রাণী অর্কর ঘরে ঢুকে দেখে তার চোখ বন্ধ। কেমন লোভ হয়। আস্তে করে তার কপালে ঠোঁট ছোঁয়াতেই দূটো হাত তাকে জাপ্টে ধরে।
----"এই কি করছ? ছাড়, উঠে এস, বাবাকে ওষুধটা দাও।"
অগত্যা অর্ক উঠে পড়ে। বাবাকে ওষুধ দেয়। রোজকার মতো সব কিছু চলতে শুরু করে।
শুধু আজ দুজনের সবকিছু বদলে গেছে। একসাথে সব সামলাতে সামলাতে খুনসুটি চলে। সব সংশয় সব সংকোচ কোথায় হারিয়ে গেছে।
সকালটা যেন অনেক বেশি মিষ্টি। ইন্দ্রাণী রান্না করছে। পিছন থেকে তাকে জড়িয়ে ধরে ঘাড়ে, গলায় মুখ ঘষতে শুরু করে অর্ক।
----"কি হচ্ছে এটা? কেউ দেখে ফেললে?" ----
"সে ভয় নেই। বাবা ঘর থেকে বেরিয়ে আসবে সে সম্ভাবনা নেই ইন্দ্রা।"
----"বেশ তো, রান্নাটা তো করতে দেবে।" ----
"আমি কি আটকেছি নাকি? তুমি রান্না কর, আমি আমার কাজ করি।" -
"ও তাই বুঝি? সর, কাজ করতে দাও।"
অর্ক তাকে ছেড়ে দেয়। তারপর তার হাত থেকে খুন্তি নিয়ে নিজেই রান্না শুরু করে।
ইন্দ্রাণী পাশে দাঁড়িয়ে দেখতে থাকে।
হঠাত্ই বাঁ হাতে ইন্দ্রাণীর গলা জড়িয়ে তাকে কাছে টেনে নেয় অর্ক।রান্না করতে করতেই ইন্দ্রাণীর ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে দেয়।
ইন্দ্রাণীর সারা শরীরে বিদ্যুৎ বইতে শুরু করে।
মনে হয় নিজেকে কিছুতেই যেন সামলাতে পারবে না।
দুহাতে অর্কর মুখ ধরে জোর করে সরিয়ে দেয়।
বলে---"একদম না। কাজ কর।"
অর্ক আর কিছু বলে না।
খাওয়াদাওয়া শেষে ইন্দ্রাণী ঘরে যায় বিশ্রাম করতে।
অর্ক নিজের ঘরে শুয়ে আকাশপাতাল ভাবে।আজ রাতেও আবার ইন্দ্রাণী মেশোমশাইকে ঘুম পাড়িয়ে দিতে বসে।
অর্ক নিজের ঘরে গিয়ে শুয়ে পড়ে।
কিছুক্ষণ পরে ইন্দ্রাণী ঘরে ঢোকে। অর্কর পাশে বসে।
অর্ক চোখ বন্ধ করে থাকে। যেন ঘুমিয়ে পড়েছে।
ইন্দ্রাণীর মাথায় দুষ্টুবুদ্ধি খেলা করে।
ফিসফিস করে যেন নিজের মনেই বলে---"ঘুমাচ্ছে দেখি। যাই তাহলে।"
ইন্দ্রাণী উঠতে যেতেই অর্ক লাফিয়ে উঠে তাকে জড়িয়ে ধরে।
ইন্দ্রাণীর মুখে দুষ্টুমির হাসি।
ঘরের হালকা নীল আলোয় তাকে অদ্ভুত সুন্দর লাগে।
অর্ক চোখে পলক পড়ে না।
-----"কি দেখছ অমন করে?" ----
"তোমাকে।"
অর্ক হঠাত্ই ইন্দ্রাণীর কোলে মাথা গুঁজে বলে--- " সত্যি ভালবাস আমাকে?" ----
"সন্দেহ আছে এখনো?"
"আমাকে দূরে সরিয়ে দিও না ইন্দ্রা। পাগল হয়ে যাব তাহলে সোনা।"
ইন্দ্রাণী নীচু হয়ে অর্ককে জড়িয়ে ধরে।
বলে---"তার আগে যেন আমার মরণ হয়।"
অর্ক তার মুখে হাত চাপা দিয়ে বলে---"আর কখনো এমন কথা যেন না শুনি।"
ইন্দ্রাণী তাকে তুলে বসিয়ে আদরে আদরে ভরিয়ে দিতে থাকে। অর্ক একইভাবে তাকে আদর করে। দুজনের শরীরেই শিহরণ জাগে।
অর্ক বলে---"ইন্দ্রা।"
----"বলো।"
ততক্ষণে অর্কর হাত ইন্দ্রাণীর বক্ষযুগলে আবদ্ধ।
সে বলে---"তোমার এই সুন্দর সম্পদ খুব দেখতে ইচ্ছে করছে।"
ইন্দ্রাণী আপত্তি করে না।
অর্কর হাতে সে সম্পদ উন্মোচিত হতেই ইন্দ্রাণী দুহাতে আড়াআড়ি তা আড়াল করতে চেষ্টা করে। একঝলক যেটুকু চোখে পড়ে তাতেই অর্কর মনে হয় যেন স্বর্গ দর্শন হয় তার।
কোনো মানুষের অঙ্গ এতো সুন্দর হয়, নেশা ধরিয়ে দেয়!
বলে---"কি হল? আমার কাছে কিসের লজ্জা তোমার ইন্দ্রা?"
ইন্দ্রাণী তার বাহুডোরে আবদ্ধ হয়। তার বক্ষযুগল পিষ্ট হয অর্কর প্রশস্ত বুকে।ধীরে ধীরে অর্কর মুখ ডুবে যায় তার বক্ষদেশে। কেঁপে কেঁপে ওঠে সে।
অর্কর মাথা দুহাতে চেপে ধরে গলায় সুখের আবেশ "এবার ছাড় অর্ক। আর পারছি না আমি।"
----"তোমার কষ্ট হচ্ছে?" ----
"নাগো কষ্ট নয়, সুখ। কিন্তু এতো সুখ সহ্য করতে পারছি না। শরীর কেমন অবশ হয়ে আসছে।"
অর্ক তাকে জোর করে এগোতে চায় না।
তাই বলে---"শুয়ে পড়। আমি তোমাকে ঘুম পাড়িয়ে দেই।"
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন