Breaking

বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ১১

বৌদির বোন পর্ব 5

  


অল্প সময়েই বাবার খুব প্রিয় হয়ে ওঠে ইন্দ্রাণী। 

অর্ক বলে---"আগে থেকেই শ্বশুরকে হাত করে নিচ্ছ যে।" -----

"তোমার আপত্তি আছে বুঝি?" 

-----"তা কেনভালই তো।" ----

"তোমার সুবিধে হবে তাইনা?" 

-----"তা একটু হবে। তবে দিদিকে সময় মত ফিট করে নিও। হাজার হলেও জা হবে তোমার।" -----

 

 

ভুল করছ। জিজুকে ফিট করতে পারলে সব ঠিক হয়ে যাবে।" -----

"তাকেও ঘুম পাড়ানোর কাজ করবে নাকি?" -----"করতে পারলে সুবিধেই হত।"  

অর্ক তার দুই গাল দুই হাতে জোরে টিপে ধরে বলে

---"আবার বলো।" -----

"উঃ লাগছেছাড়ো। কি হিংসুটে রে বাবা।" -----

"হিংসুটে তো বেশ। কত সখ!" 


অর্কর কথায় ইন্দ্রাণীর বুকের ভিতর ভালবাসার ফল্গুধারা বইতে শুরু  করে অর্ক গাল ছেড়ে দিয়ে ঠোঁট ডুবিয়ে দেয় তার ঠোঁটে।  

ইন্দ্রাণী নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে কাজে মন দেয়। 

নির্ধারিত নিয়মে রাত নামে। বাবা ঘুমিয়ে পড়ে। 

আজকের রাত যেন বড্ড বেশি মনোরম।  


থালার মত বড় একটা চাঁদ আকাশে জ্বলজ্বল করছে। 

জোৎস্নায় ভেসে যাচ্ছে চতুর্দিক।

 রাত হয়েছে বুঝতে না পেরে দুএকটা পাখি বাসা ছেড়ে ডানা ঝাপ্টে আকাশে উড়াল দিতে গিয়ে আবার ভুল শুধরে ফিরে  যাচ্ছে বাসায়। 

ইন্দ্রাণী আসে বেশ কিছুটা সময় পার করে। অধৈর্য হয়ে উঠছিল অর্ক। ইন্দ্রাণীকে দেখে শান্তি হয়। আজ শাড়ি পড়েছে সে। 

 

 

 

বাসন্তী রঙ শাড়িতে চাঁদের মতোই যেন জোৎস্নার আভা। অর্ক তাকিয়ে থাকে। 

-----"কি হল অর্ক?" -----

"চাঁদটার মতোই সুন্দর লাগছে তোমাকে।"

 -----"চাঁদের কিন্তু কলঙ্ক  আছে।" -----

"ওসব মানুষের কল্পনা। নিজের সাথে মিলিয়ে কেউ বলেছে।

-----"তাও যদি বল তো মানুষের কলঙ্ক স্বীকার করতে হয়।" -----"অস্বীকার কখন করলামতবে সেও তো মানুষেরই ভাবনা।

-----"অবশ্য কলঙ্কিনী রাধার কলঙ্কের জন্য অনেকেরই শ্রদ্ধা আছে মনে  হয়। তাই সাহিত্যে তার জায়গা পাকা।" -----

"ওই কলঙ্কে ভালোবাসার ছোঁয়া আছে যে।

-----"ভালবেসে কলঙ্কিনী হলে দোষ নেই বল।" -----

"হুম। কিন্তু তুমি কি দাঁড়িয়েই কথা বলে যাবে?" 

-----"কি করি বলতোআমি তো কলঙ্কিনী হয়েই গেছি। তোমার কাছে যেতে সংকোচ হচ্ছে গো।" -----"তবে রে---

 

 

অর্ক উঠে ইন্দ্রাণীকে পাঁজাকোলা করে বিছানায় শুইয়ে দিতে দিতে  বলে---" দেখি কতটা কলঙ্ক লেগেছে।

----"কি করবে দেখে?" ----

"সব তো আমাকেই মুছে দিতে হবে। তাইনা?" 

----"সে তো হবেই।

অর্ক গিয়ে তার পাশে বসে মুখের কাছে ঝুঁকে বলে---"মোছা শুরু করি তাহলে?" 

কথাটা বলেই তার শাড়ির আঁচল সরিয়ে  দিয়ে স্তনযুগল ডলতে শুরু করে।

 ----"উঃ লাগছে তো। আস্তে। এই বুঝি কলঙ্ক মোছা?" -----

"হ্যাঁ তো।

-----"অসভ্য একটা।" -----"অসভ্যের কি দেখলেএখনো কিছুই দেখাই নি তো।"  

অর্কর ঠোঁট চেপে বসে তার ঠোঁটে।  পিপাসিত চাতকের মতো শুষে পান করতে চায় সবটুকু।

ইন্দ্রাণীর শরীরে মাদকতা আসে। 

অর্ক মুখ তুলতেই সে আবার তাকে টেনে নেয়।একজোরা গোলাপী ঠোঁটের মধ্যে চেপে থাকে অর্কর ঠোঁট। 

সময় বয়ে চলে। হাঁপিয়ে না ওঠা অবধি ইন্দ্রাণী থামে না। 

অর্ক ঠোঁট ছাড়িয়ে নিতে বলে---" কেমন লাগল?" -----

 

"দারুণ। বলে বোঝাতে পারব না।"  

অর্ক আস্তে আস্তে মুখ ঘষে ক্লিভেজে।  

ইন্দ্রাণী নিজেই খুলে দেয় পিছনের ফিতে। 

উন্মুক্ত স্বর্গীয় সে অঙ্গে মুখ ডুবিয়ে দেয় অর্ক। 

একটা হাত চাপ দিতে থাকে তার তলপেটে। 

ইন্দ্রাণী নিজেকে হারিয়ে ফেলে। 

অনেকক্ষণ পরে অর্ক নিজেকে সামলে নিয়ে উঠতে যায়। 

ইন্দ্রাণী বলে  ----"কি হলপেট ভরে গেল নাকি?" -----

"এত সহজে কি পেট ভরে?" 

-----"আমার তো মনও ভরল না।" -----

"অবস্থা তোমার খারাপ মনে হচ্ছে।

-----"খারাপ করতে পারলে কোথায় তো একটু।"  ইন্দ্রাণীর সামান্য  কথাটুকু অর্ককে যেন মাতিয়ে তুলল। 

বলল----"বেশ তো তাহলে আরও খারাপ অবস্থা করি।" -----

"সে করছে জিজু। প্রথমদিনই যা দেখেছি তাতে দিদির সত্যিই যে কি অবস্থা এখন?" 

-----"তাই বুঝি জিজুকে ঘুম পাড়িয়ে দেবার ইচ্ছে?" -----"সে তো হবেই।"  

কথা বলতে বলতেই ইন্দ্রাণী অর্কর মুখ টেনে নিয়ে বুকে চেপে ধরে। শক্ত হয়ে ওঠা স্তনবৃন্ত খুঁজে নিতে অর্কর অসুবিধে হয় না।  আদরে আদরে পাগল করে তোলে ইন্দ্রাণীকে। 

-----"এই নাভয় লাগে।

-----"জানি।

-----"তাহলে?" 

-----"কিছু না 

-----"তোমার ইচ্ছে নেই?" 

-----"আছে তো।

-----"তাহলে চলো ভেসে যাই একসাথে।

-----"হুমশেষে কুল পাব তো?" 

-----"কুলেই আছ তো।

-----"এখন আছিপরে যদি ডুবে মরি।

-----"ডুবলে একসাথে ডুবব। একা তোমাকে ডুবতে দিলে তো।"  

যন্ত্রণায় কঁকিয়ে ওঠে ইন্দ্রাণী। 

ঠোঁটে ঠোঁট চেপে সে শব্দ চাপা দেয় অর্ক। 

বর্ষার প্রথম বারিধারায় সিক্ত হয় ধরনী।অর্কর বাহুবন্ধনের নিশ্চিন্ত সুখের মধ্যেও ইন্দ্রাণী ভাবে রসসিক্ত ধরনীর বুকে কোনো অঙ্কুর মাথা তুলবে নাতো

 


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন