বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারী ২৯

শ্রেয়সী পর্ব- ৩

 


এরপরে দিন চারেক পরের ঘটনা। এমন অঘটন ঘটবে আমি স্বপ্নেও ভাবিনি। রাত তখন সাড়ে এগারোটা বাজে। শীতের কনকনে রাত্রি। চারিদিকে শুনশান। 

বাড়ীর মালকিনের কাজের মেয়ে আমার ঘরের দরজায় ধাক্কা মেরে বললো, "আমিনুদ্দিন ভাই বড়মা আপনাকে ঘরে ডাকছেন। বড়মার ঘরের লাইট জ্বলছে না।"

এত রাতে মালকিন বিউটি বেগম আমাকে ঘরে ডাকছেনকারনটা কি শুধুই সুইচবোর্ডের সুইচটা ঠিক করে দিতে

আমি একটু চিন্তিত মনে মালকিনের ঘরে গিয়ে ঢুকলাম। ফিউজটা যখন ঠিক করছিলাম ঘরের ভেতরটা নজর পড়ছিল। সারা ঘরটা বেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্নভাবে সাজানো। ঘরের দেওয়ালে নগ্ন নারী মূর্তির বিভিন্ন ভঙ্গীমার ছবি। সাদা কালো মার্বেল পাথরের মেঝে,তার ওপর মেহগনি কাঠের কারুকার্য করা বীরাট খাট। সেই খাটে আধশোয়া অবস্থায় মধ্যবয়সী বিউটি বেগম। চিকনের নাইটি ওর অঙ্গে। হাতে ধরা মদের গ্লাস। ঘরের কালার টিভিতে চলছে ব্লু ফিল্মের ছবি।আমি তো সবকিছু দেখে একেবারে থ।



  কোন বাড়ীর মালকিনকে দেখছি আমি?

বিউটি বেগম আমাকে চোখ রাঙিয়ে বললেন, "কালকেই বাড়ী ছেড়ে দেবে আমার। বেয়াদবির একটা সীমা আছে। তোমার গতিবিধি সবই লক্ষ্য করছি আমি। আমার মোটেই ভাল লাগছে না।"

আমি দাঁড়ানো অবস্থায় বললাম, "ঠিক আছে। তা একথা তো কাল সকালেই বলা যেত। সুইচ বোর্ড ঠিক করতে হবেএই বলে ঘরে ডেকে এনে অপমান করার কোন দরকার ছিল কি

এত রাতে ডাকার কোন প্রয়োজন ছিল না।"

আমি মুখটা গম্ভীর  নিচু করে পেছন ফিরে দরজার দিকে পা বাড়ালাম।



বিউটি বেগম চেঁচিয়ে উঠে বললেন, "কোথায় যাচ্ছএখনও আমার কথা শেষ হয়নি। এদিকে এসো।"

আমি আবার পেছন ফিরে ওনার দিকে তাকালাম। বেশ অবাকই হচ্ছিলাম। 

নির্লজ্জ্বের মতন উনি আমাকে বলে বসলেন, "খাটে এসে বসো। বলছি কথা কানে যাচ্ছে না?"

আমি বললাম, "কেনখাটে বসব কেন?"উনি বললেন, "বসে বসে আমার পা টিপে দেবে। আর আমি যা যা বলবতুমি তাই করবে।"বিরক্ত হচ্ছিলাম। কিছু বলার আগেই উনি দেখলাম আমার কোলের ওপর দুটো পা তুলে দিয়েছেন। 

আমাকে হুকুম করলেন, "বলছি না আমার পা টা টিপে দাও।"বেশ ঘাবড়ে যাচ্ছিলাম। মহিলার মতলব খানা কিবিউটি বেগমকে দেখলাম উনি ওনার নাইটি তুলে ফর্সা মাংসল হাঁটু বার করে দিয়েছেন। এবার উনি আমার হাতটা ধরে উপরে তুলতে লাগলেন। নিজের হাতের এঁটো মদের গ্লাস আমার দিকে এগিয়ে দিয়ে বললেন, "এতে চুমুক দাও। শরীর তাজা থাকবে।"

আমি বললাম, "আমি মদ খাই না।"

উনি জোর করলেন, "আমি যখন দিচ্ছি তোমাকে খেতে হবে।"মনে হল উফ কি জ্বালাতনে পড়েছি।



 রাত বিরেতে এই মহিলা এমন করছে কেনকি হয়েছে ওনার

আমি কারুর সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছি দেখে ওনার কি গা জ্বলে যাচ্ছেএই মধ্যবয়সে শখ জেগেছে ওনার?দেখি মদ খাবার জন্য রীতিমতন জোর করছে আমাকে। কন্ঠস্বর বড়ই তেজী। আমি বাধ্য হয়েই গেলাসে চুমুক দিলাম। দেখলাম শরীরটা তারপরেই কেমন চনমন করতে লাগল। টিভির পর্দায় চোখটা চলে গেছে। ব্লু ফিলমের এক নায়িকা তার শরীর প্রদর্শন করছে  আমার চোখ দুটিকে ক্রমশই বেঁধে ফেলছিল।বিউটি বেগম এদিকে নিজের গায়ের নাইটিটা খুলে ফেলেছেন। 

আমাকে জাপটে ধরে বললেন, "এত ন্যাকামী করো কেন

পুরুষমানুষের এত ন্যাকামি আমার সহ্য হয় না। যা করবে ঝটপট করবে। আমি কি সারারাত তোমার জন্য জেগে বসে থাকবো?"

আমি চোখ বড় বড় করে বললাম, "মানে?"

উনি বললেন, "মানে টানে আবার কি

আচ্ছা ঠিক আছেআমি তোমাকে না হয় একটু গরম করে দিচ্ছি।"

বলেই উনি আমার গালগলাঘাড়ঠোঁট আমি দেখলাম আমার পুপরুষত্ব ভালোই জেগেছে উনি ওনার কোমল হাতে আমাকে ক্ষিপ্র করবার চেষ্টা করছেন। হিংস্র বাঘিনীর হিংস্র শ্বাস প্রশ্বাসের দাপটে আমাকে যেন তখুনি গিলে খেয়ে ফেলবেন। নিজের গহ্বরের মধ্যে আমার অঙ্গ পেষণ করতে বললেন। আমি ওনার  পাগলামোয় অস্থির হয়ে উঠেছি।



বিউটি বেগম বললেনএবার দেখি তোমার কত যুবশক্তি। আমাকে যদি সুখ দিতে না পারোভাড়া দিয়েও এখানে থাকতে পারবে না। লাথি মেরে তোমাকে দূর করে দেব। আজ কিন্তু হারলে চলবে না। তোমাকে জিততে হবে।বেগতিক অবস্থা আমার। কি করব বুঝতে পারছি না। উনি বললেন, "তোমাকে বিপদে ফেলব। এটাই কি তুমি চাও। আমার ঘরে এসে বিছানায় বসে আমার সঙ্গে তুমি মাখোমাখো হতে চাইছ। চেঁচিয়ে যদি লোক ডাকতে শুরু করি। কেউ বিশ্বাস করবে না। আমি তোমাকে আমার ভেতরে নিতে চাইছি। লোকে ভাববে......"

কথাটা শেষ না হতে হতেই আমি বুঝে গেলাম, "মহিলার উদ্দেশ্যটা আসলে কিআমাকে বিপদে ফেলার নাম করে নিজের স্বার্থসিদ্ধি করতে চাইছেন।"

মদের গ্লাসটা নিজের জিভে ঠেকিয়ে উনি বললেন, "কি হল সুপারম্যান। শুরুতেই হেরে গেলে?" শরীরটা তেতে উঠল আমার। মাথায় রক্ত উঠে গিয়েছে। শক্তি দেখানোর কথা বলছেন। উনি কি জানেন আমার শক্তি কতআমি হেরে যাবএটা উনি ভাবলেন কি করে

কিন্তু আমার বিবেকে কি বাঁধবে না এটাশ্রেয়সী  যদি জানতে পারে। ওকে আমি কি জবাব দেব?


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন