মাঝে মাঝে আমিও ভাবি, ইস পূর্ণা কে আমিও যদি কাছে পেতাম। বিছানায় সারা রাত্রি ধরে । ওর এত রসে ভরা শরীর। টগবগ করে ফুটছে যৌবন। শরীর তো নয় যেন জ্বালামুখীর খনি। আমারও কি ইচ্ছে হয় না পূর্ণার শরীরটাকে উদোম আদীম মানবি রুপে দেখতে ওর উপর নিজের কামনার রস ঝড়াতে?
পূর্ণা আমাকে বোঝে না, আমাকে বুঝতে চায় না। কেন বুঝি না। ও শুধু পয়সাওয়ালা লোকগুলোর ক্ষিধে মেটায়। গাড়ী চড়ে আসে। এক তোড়া নোটের বান্ডিল উপহার দেয় পূর্ণা কে। পূর্ণা তাতেই খুশী। ঝড়ের গতিতে ওকে বিবস্ত্র করে, তারপর ওর শরীরের উপর শীবের তান্ডব শুরু করে। লোকগুলো পূর্ণার পীনোন্নত বক্ষ চুষে চুষে খায়। সারা রাত্রি ধরে করে। তারপর সঙ্গম লীলা সাঙ্গ হলে ভোর হতেই গাড়ী চড়ে ফিরে যায়।পূর্ণা শুধু একটা চুমু খায় আমাকে। খদ্দের ধরে দেওয়ার উপহার।
কিন্তু ও আমাকে মন থেকে চায় না। কেন? আমি কি দেখতে খারাপ বলে? আমার বয়সটা চল্লিশ। আমি বেঁটে। আমার গায়ের রঙ কালো। আমি মোটা বলে? পূর্ণা অনেক সুন্দর। ও যেন কুড়ী বছরের তরতাজা যুবতী। সারা শরীরে কামদেবীর আশীর্বাদের বন্যা বয়ে যায়। পুরো শরীরটাই আগুন। তবে ও কোনদিন কাউকে ভালবাসতে পারবে না। কাউকে মনও দিতে পারবে না। কারন ও শুধু অর্থকেই ভালোবাসে। টাকা, টাকা আর টাকা।
যে টাকার জন্য মেয়েরা শরীর বিলিয়ে পুরুষ মানুষকে তার দেহ উপভোগ করতে দেয়।সুন্দর সুন্দর পুরুষের দল টাকার বিনিময়ে তার দেহটা চেটে পুটে খায়। ওকে নিয়ে বিছানায় শীবের তাণ্ডব করে ছটফট করে। দিনের পর দিন ওর শরীরটার টানে তারাই পুনরায় ফিরে আসে। এরাই পূর্ণা কে ভোগ করে, কিন্তু পারি না আমি। কারন আমি যে দালাল। এই পতিতা পল্লীতে আমাকে সবাই দালাল বলে চেনে। খদ্দেররা আমাকে খোসামোদ করে। পায়ে ধরে। আমার পেছনে কুকুরের মত লেগে থাকে। আমি ওদের পূর্ণার ঘরটা চিনিয়ে দি। তারপর ওরা আমাকে বকশিস্ দেয়। আমি দুটো পয়সা পাই। খদ্দেরগুলোকে নিয়ে পূর্ণা ওর ঘরে ঢোকে। আমারও ঠান্ডা রক্ত টগবগ করে ফুটে ওঠে। শরীরের আগুন শিখার মতন জ্বলে ওঠে। মনটা আকুল হয়ে যায়। তারপরেই আবার দপ্ করে শিখাটা নিভে যায়।
আমি পূর্ণা কে আর আমার কামদবের আশীর্বাদ দেখাতে পারি না।কিন্তু একদিন না একদিন আমি পূর্ণা কে ঠিক দেখিয়ে ছাড়ব । সেদিন কেউ থাকবে না ঘরে। শুধু আমি আর পূর্ণা । না কোন খদ্দের না কোন ভোগী। আমার পূর্ণার আদিম লিলা চলবে শুধু। সেদিন আমিই হব শুধু পূজারী। আর ও আমার কান্ডারী।
তোমার শরীর ভোগ করার অধিকার শুধু পয়সা ওয়ালা লোকগুলোর আছে নাকি? আমি যে তোমাকে কতটা চাই তুমি মন থেকে বোঝ না? না কি জোড় করে করতে বাধ্য করবে আমায়? তোমার এত অহঙ্কার কিসের? তুমি দেখতে সুন্দর বলে? এ তল্লাটে তোমার মতন সুন্দরী পুষ্প নেই বলে? তোমার পূজার জন্য পূজারীর অভাব হয় না বলে? না কি আমি তোমাকে তোমার প্রাপ্য দাম দিতে পারব না বলে?দেখ আমি এনেছি টাকা তোমার জন্য।
কত চাই? পাঁচশ, হাজার, দু হাজার, পাঁচ হাজার নাকি আরো খদ্দেরগুলো যেত আর আসত। রাত ফুরিয়ে ভোরের আলো ফুটত। কিন্তু আমার ইচ্ছা আর পূরণ হোত না।
কিন্তু একদিন......সেদিন ছিল পূর্ণিমার রাত। পূর্ণা বলেছিল আজকের জন্য একটা খাসা মাল ধরে দিতে। একেবারে বলিষ্ঠ, সুপুরুষ, পয়সাওয়ালা খদ্দের। ওর ঠিক মনের মতন। যে হবে পড়্নার কামনার পিয়াসী। মখমলে শরীরটাকে ময়দা মাখার মতন চটকাবে। তারপরে চরম সঙ্গমে মত্ত হয়ে উঠবে।আমি এগিয়ে গেলাম ফর্সা ছেলেটার দিকে। দেখতে ভাল। হ্যান্ডসাম আছে। গাড়ী চড়ে এসেছে। মারুতী গাড়ী। গাড়ীটা ওরই। নিজেই ড্রাইভ করে এসেছে। আমার দিকে তাকালো। বললো, "তুমি কে? দালাল?
আমার দালালের দরকার নেই।"
আমি হাঁসলাম। বললাম, "সেকি স্যার? আমাকে বাদ দিয়ে আপনি এখানে ভাল ছোকরী পাবেনই না। শুধুই ঘুরবেন। ঘোরাটাই সার হবে স্যার। পয়সা ফেললে ভাল পিস দিয়ে দেব স্যার। একদম খাসা জিনিষ। আপনাকে কষ্ট করে খুঁজতেই হবে না।"
হাতে হূইস্কির একটা বোতল নিয়ে এদিক ওদিক তাকাচ্ছিল। আমি আরো কাছে গেলাম। বললাম, "এগুলো এখানে দরকার হয় না। ওর ঘরে সব আছে। আপনি শুধু হ্যাঁ টা বলবেন। তারপরে দেখুন আমি কোথায় আপনাকে নিয়ে যাই।"
পকেট থেকে পাঁচশ টাকার একটা নোট বার করে বললো, "তোমার দালালী কত?"
বললাম, "ওটা ছোকরী দেখে দেবেন স্যার।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন