নির্লজ্জ্বের মত মহিলা এবার আমার ঠোঁটে চুমু খেয়ে বসলেন। তখনও হিংস্র বাঘিনী। শয়তানের হাসি হাসতে শুরু করেছেন।হাসি থামিয়ে হিংস্রভাবে আমাকে আক্রমণ করে বললেন, "কি গো আমার পেয়ারের ভাড়াটিয়া ? তোমার পুরুষত্ব প্রয়োগ করো দেখি। তুমি কি আবার ধ্বজভঙ্গ নাকি?
ওই মেয়েটার সঙ্গে ফস্টি নস্টি করলে কি করে তুমি ধ্বজভঙ্গ হয়ে ? সুপারম্যান। হাবভাব দেখে তো মনে হচ্ছে না।"
এবার আমি আর উনার তীর্যক মন্তব্য সহ্য করতে পারলাম না।
মনে মনে বললাম, "দেখবি আমার কত ক্ষমতা? আয় তোকে আমি দেখাচ্ছি!"
আমার মাঝে ঘুমিয়ে থাকা আমার হিংস্র পশুটা জেগে উঠলো দেখিয়ে দিলাম আমার ক্ষমতা। আমার সত্যিকারের ক্ষমতা দেখে বিউটি বেগম আনন্দে দিশাহারা হয়ে উঠল। মুখে তুলে নিয়েছে আমার মুখটা । আমার মাঝে যেন তখনও ঝড়ের পূর্বাভাস চলছে।
হঠাৎ ধেয়ে আসলো ঝড়ের তীব্র গতি। তীব্র গতিতে সব কিছুকে ভাসিয়ে দিয়ে শান্ত করে দিলো চারোপাশ । চিরে ফালাফালা করে দিয়েছে এই একটুকরো ফসলের জমি। রাতটা কখন এইভাবে নিঃসাড়ে কেটে গেল বুঝতে পারলাম না। ওই ঘরের মুখোমুখি বাথরুমের জানলার ফাঁক থেকে একটা ছায়ামূর্তী সরে গেল। আমার চোখে কিন্তু সেটা পড়ল না।
ঠিক তার পরের দিন আমার শ্রেয়সীর সঙ্গে আবার দেখা। শ্রেয়সী মুখ ঘুরিয়ে দাঁড়িয়ে। আমি ওর কাছে যেতেই শ্রেয়সী হাঁটতে শুরু করল। আমি জোরে পা চালালাম।
পেছন থেকে শ্রেয়সীর হাতটা চেপে ধরে বললাম, "কি হয়েছে শ্রেয়সী? আমাকে এড়িয়ে তুমি চলে যাচ্ছ কেন?"
শ্রেয়সী বললো, "তোমার সঙ্গে আমার আর কোন সম্পর্ক নেই। তুমি এত নীচ, এত নোংরা আমি আগে জানতাম না।"
আমি বললাম, "কেন, কি হয়েছে শ্রেয়সী? আমি তোমার কাছে খারাপ হয়ে গেলাম।"
শ্রেয়সী বললো, "তোমার বাড়ীর মালকিনের সঙ্গে দেহসম্পর্ক করলে বুঝি বাড়ীভাড়া মওকুফ হয়ে যায়?
কাল রাতে ওনার সঙ্গে তুমি কি করেছ আমি সবই দেখেছি।"
ওকে বললাম, "দেখেই যখন সব নিয়েছ, তখন এটা নিশ্চই দেখেছ উনি আমাকে দিয়ে জোর করে
কেমন যৌন সুখ মেটাতে চেয়েছিলেন।"
শ্রেয়সী বেশ রাগতস্বরে বললো, "সে তো খুব ভাল কথা। ওনার অনেক টাকা। ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স প্রচুর। ওনাকে বিয়ে করলে তুমি রাজ সম্পদ এবং রাজকুমারী দুটোই পাবে। তবে উনি কে? সেটা কি তুমি জানো?"
আমি হতবাক। বললাম, "না জানি না।"
শ্রেয়সী বললো, "উনি আমার গর্ভধারিনী মা। কাল যিনি তোমাকে নিয়ে এক বিছানায় রাত কাটিয়ে ছিলেন।"
আমার মাথায় যেন বজ্রপাত হল শ্রেয়সী কথাটা শুনে।
শ্রেয়সী বললো, "ঘরে একটা পুরুষমানুষের ছবি ছিল সেটা কি দেখেছ? উনি হচ্ছেন আমার বাবা। স্ত্রীর বেয়াদপি যৌনতা সহ্য করতে না পেরে উনি আমার মা'কে ডিভোর্স করেছেন। আর এটাও শুনে রাখো, আমার তো মনে হয় নিজের উচ্ছৃঙ্খল জীবন বজায় রাখতে উনি নিজেই স্বামীকে পোষাগুন্ডা দিয়ে সরিয়ে দিয়েছেন। আমার এই চরিত্রাহীনা মাকে আমি ঘেন্না করি। বাড়ী থেকে সেইজন্যই বেরিয়ে এসেছি। নিজেকে বাঁচাতে আমি হোটেলে সিংগার হয়েছি। এবার তাহলে বোঝ আমার অবস্থা।"
শ্রেয়সী আর দাঁড়ালো না। ট্যাক্সিতে উঠে পড়ল।
আমি হতভম্ব। দাঁড়িয়ে ওইদিকে চেয়ে। মনের মধ্যে চিন্তা শুরু হয়ে গেল। ডিভোর্সী মহিলা বিউটি বেগমের চরিত্র ভাল নয়। অগাধ টাকা ওনার।জীবনকে উপভোগ করতে এখনও উনি নব্য যুবকদের বাড়ীতে না এনেও কোন না কোন হোটেলে ঘর নিয়ে যৌনফুর্তী ভোগ করেন। এটাই ওনার স্বভাব। এই মধ্যবয়সেও উনি ওনার স্বভাবকে পালটাতে পারছেন না। আমাকেও উনি ওনার শিকারের জালে জড়িয়ে ফেললেন। অসহ্য এক পরিস্থিতি। হোটেলের সিংগার। কিন্তু নিজের রুচি ব্যক্তিত্বকে বিলিয়ে দিতে চায়নি। মেয়েটা নিজেকে যদিও খারাপ ভাবে। এখনও তবু নিজেকে ভাল রাখার চেষ্টা করে। কিন্তু সে চেষ্টা কতদিন সে বজায় রাখতে পারবে? হোটেলে, বারে হাঙরের মত জন্তুরা কখন কোনসময় ওকে গ্রাস করবে। অসহায় মেয়ের কতটুকু ক্ষমতা আছে নিজেকে এইসব হাঙরের মুখ থেকে বাঁচানোর? এ যে বড়ই কঠিন।
পরের দিন সন্ধ্যায় আমি বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে। প্রায় আধঘন্টা পরে শ্রেয়সী ওখানে এল। দেখলাম ওর গম্ভীর মুখ। আমার দিকে তাকাল না। আমি এগিয়ে গিয়ে বললাম, "শ্রেয়সী তুমি আমাকে ঘেন্না করছ এখন, আমি জানি। তবে আমার একটা কথা কি তুমি শুনবে?"
শ্রেয়সী ফিরল আমার দিকে। ভণিতা না করে ওকে বললাম, তুমি যদি রাজি থাক "শ্রেয়সী আমি তোমাকে বিয়ে করতে চাই।"
এবং এখান থেকে অনেক দূরে তোমার সাথে পাড়ি দিতে চাই।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন