নীলাভ মনে মনে এতটাই লজ্জিত যে ও নুপুরের চোখে চোখ রেখে কথা বলতে পারছে না তাই ও ঠিক করল নুপুরকে সরি বলবে কিন্তু নূপুর ওকে দেখে ভয় পাচ্ছে ওকে যথাসম্ভব এড়িয়ে চলছে।যখন ও ডাকছে কাছে আসছে প্রয়োজনীয় কথা বলে চলে যাচ্ছে।তাই নীলাভ বুঝতে পারে না কি করবে।নীলাভ নুপুরকে ঘরে ডাকে,, নীলাভ:নুপুর নূপুর একবার ঘরে এসো তো দরকার আছে।
নূপুর:ব...বলো।(কেঁপে কেঁপে) নূপুর ঘরে ঢুকলে নীলাভ দরজা দিয়ে দেয়।নূপুর আরো ভয় পেয়ে যায়।
নূপুর:কি...কিছু বলবে?আমার নিচে কাজ আছে যেতে হবে।প্লিজ যেতে দাও।
নীলাভ:তুমি আমাকে এড়িয়ে চলছ কেন?কালকের ঘটনার জন্য আমি সত্যি দুখঃ পেয়েছি আমি অনুতপ্ত প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দাও আসলে আমি কাল নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারিনি।
নূপুর:না তো আমি এড়িয়ে চলব কেন?আর আমি রেগেও নেই।আর কিছু বলার আছে?যদি বলার না থাকে তাহলে আমি যাই?
নীলাভ:হুম যাও।ও হা আরেকটা কথা, কাল তোমায় কলেজ গিয়ে ভর্তি করে দিয়ে আমি হাসপাতাল চলে যাব।আমাকে কাল দিয়ে জয়েনও করতে হবে।
নূপুর:ঠিক আছে।(মনে মনে)যাক বাবা দিনে বাঁচা গেলেও রাতে তো বাঁচতে পারব না।
কাল রাতের কথা মনে করলেই ও ভয় কেঁপে উঠছে আর ওর সারা শরীর কুঁকড়ে উঠেছে।কি পাশবিক যন্ত্রণা ও কাল সহ্যই না করেছে।ও তো কোন কিছুতেই বাধা দেয়নি তাহলে কেন ও কাল ওরকম করল ওর সাথে? রাত্রিবেলা,,, নীলাভ খেয়ে এসে পাশ ফিরে শুয়ে পড়ে।কোন কথা বলে না বা নুপুরের কাছেও যাই না যদি ও আবার ভয় পেয়ে ঘর ছেড়ে চলে যায়।নূপুর এখন আয়নার সামনে বসে স্তন এ মলম মালিশ করছে।আচলতা মেঝেতে ফেলা ওর যৌবন রসে ভরা উন্নত দুধগুল আয়নায় স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।ওর নিঃশ্বাস এর সাথে ওর বুক গুলো ওঠা নামা করছে।যা ওকে আরো মহময়ী করে তুলছে নীলাভ চাইলেও চোখ ফেরাতে পারেনি তবু ও নিজেকে সামলে নিয়েছে।
পরদিন সকালে,,,
নীলাভ:কিগো হল? দেরি হয় যাচ্ছে তো।
নূপুর:আমি তৈরি চলো।
নীলাভ ও নূপুর গাড়িতে গিয়ে বসে ,সারা রাস্তায় নূপুর কোন কথা বলে না তাই নীলাভ ও চুপচাপ গাড়ী চালায়। নীলাভ:কলেজ এসে গেছি নামো।
নূপুর:হুম বলে গাড়ী থেকে নামে অবশেষে ভর্তি হয় যায় যেহেতু নিলাভর চেনা সোনা তাই বেশি ক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি।
নীলাভ:তোমাকে বাড়িতে ড্রপ করে দিয়ে আমি হাসপাতাল চলে যাব।
নূপুর:তুমি বরং চলে যাও,আমি অটোয় করে চলে যাচ্ছি।আসলে তোমার দেরি হয় গেছে তো তাই রাগ করো না প্লিজ।
নীলাভ:ওকে ঠিক আছে,সাবধানে যেও।আমি সন্ধ্যে বেলা তাড়াতাড়ি বাড়ি চলে যাব চিন্তা করো না। নূপুর মুচকি হেসে অটোর জন্য দাঁড়িয়ে থাকে।নূপুর যতক্ষণ না অটোয় উঠে যায় ততখন নীলাভ ওয়েট করে।
নূপুর চলে গেলে নীলাভ ও হাসপাতাল যায় আর মনে মনে ভাবে যাক বরফ তাহলে গলছে যাওয়ার সময় ওর জন্য জুইফুলের মালা আর আলুকাবলি ,চুরমুর,ফুচকা নিয়ে যাব ওর পছন্দ যদিও ওসব জিনিস অসাস্থকর জিনিস।তবু বৌ এর অভিমান বলে কথা ভাঙাতে তো হবেই।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন