Breaking

শনিবার, মার্চ ২

পরকীয়া পর্ব -তৃতীয়

  


আরমানকে দেখে  মালিহা একটু থমকে যায়। আরমান কোন প্রশ্ন না খুব শান্ত গলায় বলে। আমি একটু বাজারে যাচ্ছি কিছু আনতে হবে?? মালিহা মাথা নেড়ে না বলে বাড়ির ভেতর চলে যায়। তোয়ালে হাতে শাওয়ার নিতে বাতরুমে যায় মালিহা। শাওয়ার ছেড়ে,শাওয়ারের নিচে দাড়িয়ে ভাবতে থাকে। আমি শিক্ষিত,দেখতেও খুব সুন্দর।  কিন্তু আজ বিয়ের প্রায় দুই বছর হলো আরমান আমাকে এখনও স্পর্শ করে দেখেনি।আমরা একই বিছানায় শুয়ে থাকি। কিন্তু আমাদের মাঝে যোজন যোজন দূরত্ব। কি করে পাড়ে  সে আমাকে স্পর্শ না করে থাকতে?? আজ মালিহার মনটা ফরফুরে। তাই সে ঠিক করে। আজ নিজের থেকে সে আরমানের কাছে যাবে। তাই সে তাড়াতাড়ি শাওয়ার শেষ কর। নিজেকে খুব সুন্দর করে সাজিয়ে নিলো গোল্ডেন পাড়ের টুকটুকে লাল শাড়ি।হাতে লাল রেশমি চুড়ি।শাড়ির সাথে ম্যাচিং করে কপালে লাল টিপ। ঠোঁটে লিপিস্টিক।   চুলগুলো খোলা। আয়নার সামনে নিজেকে নিজে দেখেই মুগ্ধ মালিহা। দেখে মনে হচ্ছে কোন এক স্বর্গীয় রমনি দাড়িয়ে। আরমান তো খুব একটা দেরি করে না। তবে আজ কেন দেরি হচ্ছে। অপেক্ষার প্রহর গুনছে মালিহা।বারান্দায় পায়চারি করছে আর বার বার পথের দিকে তাকাচ্ছে। ঘড়িতে রাত বাজে ১২টা। মালিহা পথের দিকে তাকিয়ে আছে। দূর লাইটের আলো দেখা যাচ্ছে। মনে হয় কেউ আসতেছে। কিছুখনে বুঝা গেলো আরমান এসেছে। তুমি এখনও ঘুমাওনি। না তোমার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। চলো হাতমুখ ধুয়ে এসো আমি খাবার দিচ্ছি। এই বলে আরমানের হাত থেকে ফোন  লাইটা নিয়ে ঘরে যায় মালিহা।বাধ্য ছেলের মতো আরমান হাত মুখ ধুয়ে চলে আসে খাবার টেবিলে। খাওয়া শেষ করে আরমান বেডরুমে এসে শুয়ে পড়ে।মালিহার প্রতিদিনের মতো অভিমান হয়। এই লোকটা কি ভালোবাসতে  জানেনা।বিয়ে হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত কখনও সে আমার দিকে না ভালো ভাবে তাকিয়েছে। আর না কখনও জানতে চেয়েছে আমি খেয়েছি কি নামালিহা সব রাগ অভিমান ঝেড়ে ফেলে রুমে যায়। রুমে ডুকতে দেখে আরমান লাইট অফ করে শুয়ে পড়েছে। মালিহা রুমের লাইট অনকরে আরমানের সামনে দাড়িয়ে আছে। আরমান চোখ মেলে তাকাতেই দেখে মালিহাকে তার সামনে দাড়িয়ে। মালিহা আজ সেজেছে। কি অপরুপ লাগছে তাকে দেখতে। স্বর্গের পরী  বোধহয় মালিহার সৌন্দর্যের কাছে  হারমানবে। এর আগে এতো ভালো ভাবে কখনও দেখা হয়নি মালিহাকে।  হঠাৎ  মালিহা আরমানের পাশে বসে পড়লো।আরমানের যে মনে ভয় হচ্ছিলো। মালিহা আরমানের কপালে একটা চুমু একে দেয়। তার পর তার বুকে মাথা রেখে শুয়ে পড়ে। আরমান যে ভয়টা পাচ্ছিল তাই হচ্ছে। মালিহা তার কাছাকাছি আসতে প্রথম স্ত্রী আমার বন্ধুর হাত ধরে পালিয়ে যায়। মালিহা আরমানের ঠোঁটে আলতো করে চুমু একে দেয়। ধীরে ধীরে আরমানের গাড়ে মুখ ডুবিয়ে চুমু দেয়  আরমানকে জড়িয়ে ধরে। মালিহার গরম গরম নিশ্বাস  আরমানের বুকে গিয়ে লাগে। আরমানের  ভালোলাগছে। কিন্তু তার ভালোলাগাটা কয়েক সেকেন্ডের মাত্র।তার পরেও আজ আরমান তার সবটা দিয়ে চেষ্টা করবে। মনে মনে ঠিক করলো। আরমান মালিহার ডাকে সাড়া দিয়ে তার সমস্ত শরীর চুম্বনে ভরিয়ে দিলো। মালিহা আরমানকে জড়িয়ে নিলো তার বাহুডোরে। একে অপরকে ভালোবাসাতে ব্যস্ত। এখন সেই  সন্ধি ক্ষণ। পরম সুখে ভেসে যাওয়ার সময়। আরমান অনেক চেষ্টা করে  শেষ রক্ষা আর করতে পারলো না। মালিহার সমস্ত শরীর কাঁপছে। আরমান মালিহার অবস্থা বুঝতে পাড়লে  তার কিছু করার নেই। মালিহা বিছানা ছেড়ে দৌড়ে ওয়াশরুমে ডুকে দরজা বন্ধ করে দিলো। এবার শাওয়ারের নিচে দাড়িয়ে প্রায় এক ঘন্টা শাওয়ার নিয়ে নিজেকে সংযত করলো।মালিহা এবার বুজতে পারলো বিয়ের পর থেকে আরমান তাকে স্পর্শ করেনি কেন?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন