সোমবার, মার্চ ১৮

কে আপন কে পর অন্তিম পর্ব

  


এতদিন পর মিহিরা বাপের বাড়ি ফিরে দেখেবাড়ির ভোল পালটে গেছে। 

মাবাবাবোনদাদা সবাই খুব ভালো আছে। 

সবাই নিজেদের উপহার নিয়ে ্যস্ত। বাড়িতে অনেক নতুন জিনিস হয়েছে। 

সবই  লোকটার দেওয়া।

 

 

 

 কেউ মিহিরাকে একবারও প্রশ্ন করে নামিহিরা কেমন আছে

ওরা ধরেই নিয়েছে এত সম্পত্তিবরবাচ্চা পেয়ে মিহিরা সুখীই আছে। 

কতো বার যে ওরা এই কথাটা বলল

আরও কি কি চাই ওদের,  সেসবও জানাল ওরা।

 

 

 মিহিরার আর ভালো লাগছে নাকেমন দম বন্ধ লাগছে। 

আজ বাড়ির সবার মধ্যে থেকেও কেন জানিনা লোকটার কথা খুব মনে পড়ছে। 

লোকটা কোনদিনও ওকে ছোঁয়নি। 

আজ আসার সময় যখন হাত দুটো ধরে তাড়াতাড়ি ফেরার কথা বলল......!

 

 "আমি যাই মাদেখে গেলাম তোমরা সবাই ভালো আছো। 

এবার আমিও ভালো থাকবোআমাকেও ভালো থাকতে হবেআমার স্বামীছেলেমেয়ে 

সবার জন্য......."

"সেকিএক রাত্রিও থাকবি না?..."

"পরে কোনো একদিন আবার আসব....."

 

 

 আজ আবার সুন্দর করে সেজেছে মিহিরাঘরটাও সাজিয়েছে সুন্দর করেফুল দিয়ে।

 যে ঘরটা এতদিন শুধু ওর 

"কি হলো তোমার শরীর টরীর খারাপ করেনি তোআজই চলে এলে....!" 

মিহিরা ছুটে গিয়ে লোকটাকে জরিয়ে ধরে। 

লোকটা প্রথমে অবাক হলেও পরমুহূর্তেই মিহিরাকে নিজের সাথে মিশিয়ে নেয়। 

লোকটার গায়ের থেকে আসা এক অদ্ভুত পুরুষালি গন্ধ মিহিরাকে মহিত করে।

 

 

হঠাৎই মিহিরা লোকটির ঠোঁটে চুম্বন করে। 

লোকটা মিহিরাকে সজত্নে কোলে তুলে খাটে এনে বসায়। 

মিহিরার শাড়ি  অন্তরবাস খুলে ওকে সম্পূর্ণ নগ্ন করে। 

লোকটা মিহিরার গলাস্তন  পেটে চুম্বনে ভরিয়ে তলে।

 বিয়েতে যা অসম্পূর্ণ ছিলআজ তা পূর্ণ হলো। 

ভালোবাসা ছিলোইকখনো বোঝা হয়নিপ্রকাশ করা হয়নি।

 

 

আজ প্রকাশিত হলো দুটো অসমবয়সী মানুষের চাওয়া পাওয়া সব মিলেমিশে এক হয়ে গেল। 

মিহিরার স্বপ্ন বাস্তব সব এক হয়ে গেলোনতুন জীবনের স্বাধ পেল মিহিরা। 

বয়স দুটো অসম কিন্তু মন  শরীর দুটি এক হতে হতে সারারাত নতুন ভাবে একসাথে 

পথচলার শপথে অঙ্গীকারবদ্ধ হতে থাকল....

 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন