এতদিন পর মিহিরা বাপের বাড়ি ফিরে দেখে, বাড়ির ভোল পালটে গেছে।
মা, বাবা, বোন, দাদা সবাই খুব ভালো আছে।
সবাই নিজেদের উপহার নিয়ে ব্যস্ত। বাড়িতে অনেক নতুন জিনিস হয়েছে।
সবই ঐ লোকটার দেওয়া।
কেউ মিহিরাকে একবারও প্রশ্ন করে না, মিহিরা কেমন আছে!
ওরা ধরেই নিয়েছে এত সম্পত্তি, বর, বাচ্চা পেয়ে মিহিরা সুখীই আছে।
কতো বার যে ওরা এই কথাটা বলল!
আরও কি কি চাই ওদের, সেসবও জানাল ওরা।
মিহিরার আর ভালো লাগছে না, কেমন দম বন্ধ লাগছে।
আজ বাড়ির সবার মধ্যে থেকেও কেন জানিনা লোকটার কথা খুব মনে পড়ছে।
লোকটা কোনদিনও ওকে ছোঁয়নি।
আজ আসার সময় যখন হাত দুটো ধরে তাড়াতাড়ি ফেরার কথা বলল......!
"আমি যাই মা, দেখে গেলাম তোমরা সবাই ভালো আছো।
এবার আমিও ভালো থাকবো, আমাকেও ভালো থাকতে হবে, আমার স্বামী, ছেলেমেয়ে
সবার জন্য......."
"সেকি! এক রাত্রিও থাকবি না?..."
"পরে কোনো একদিন আবার আসব....."
আজ আবার সুন্দর করে সেজেছে মিহিরা, ঘরটাও সাজিয়েছে সুন্দর করে, ফুল দিয়ে।
যে ঘরটা এতদিন শুধু ওর
"কি হলো তোমার শরীর টরীর খারাপ করেনি তো? আজই চলে এলে....!"
মিহিরা ছুটে গিয়ে লোকটাকে জরিয়ে ধরে।
লোকটা প্রথমে অবাক হলেও পরমুহূর্তেই মিহিরাকে নিজের সাথে মিশিয়ে নেয়।
লোকটার গায়ের থেকে আসা এক অদ্ভুত পুরুষালি গন্ধ মিহিরাকে মহিত করে।
হঠাৎই মিহিরা লোকটির ঠোঁটে চুম্বন করে।
লোকটা মিহিরাকে সজত্নে কোলে তুলে খাটে এনে বসায়।
মিহিরার শাড়ি ও অন্তরবাস খুলে ওকে সম্পূর্ণ নগ্ন করে।
লোকটা মিহিরার গলা, স্তন ও পেটে চুম্বনে ভরিয়ে তলে।
বিয়েতে যা অসম্পূর্ণ ছিল, আজ তা পূর্ণ হলো।
ভালোবাসা ছিলোই, কখনো বোঝা হয়নি, প্রকাশ করা হয়নি।
আজ প্রকাশিত হলো দুটো অসমবয়সী মানুষের চাওয়া পাওয়া সব মিলেমিশে এক হয়ে গেল।
মিহিরার স্বপ্ন বাস্তব সব এক হয়ে গেলো, নতুন জীবনের স্বাধ পেল মিহিরা।
বয়স দুটো অসম কিন্তু মন ও শরীর দুটি এক হতে হতে সারারাত নতুন ভাবে একসাথে
পথচলার শপথে অঙ্গীকারবদ্ধ হতে থাকল....
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন