আরমান বিছানায় বসে ভাবছে।মালিহাকে এতো দিন স্পর্শ না করলেও মালিহা তাকে ছেড়ে চলে যায়নি। কিন্তু তার প্রথম স্ত্রী আয়েশা বিয়ের ছয় মাসের মাথায় তার বন্ধুর সাথে পালিয়ে যায়।আরমান তো আয়েশার কাছে যেতো মিলিত হতো। তবে সে দুই-তিন মিনিটের বেশী পারতো না।আর এতো অল্প সময়ে আয়েশা সন্তুষ্ট হতো না এখনতো অনেক টা সময় হয়েগিয়েছে। আরমান কারো সাথে মিলিত হয় না। এখন তো আগের মতো দুই- তিন মিনিট ও সে থাকতে পারেনা।আরমানের অনেক কষ্ট হচ্ছে সে অনুতপ্ত। সে কখনোই স্ত্রীকে সুখ দিতে পারবে না। যেনেও সে মালিহাকে বিয়ে করেছে। সে মালিহার জীবনটা নষ্ট করে দিয়েছে। নিজের উপর নিজের রাগ হচ্ছে। মালিহা শাওয়ার শেষে নিজেকে পরিপাটি করে এসে বিছানায় শুয়ে পড়ে। আরমান ও পাশফিরে শুয়ে পড়ে। মালিহা শুয়ে আছে কিন্তু তার ঘুম আসছে না। মনে হচ্ছে শরীর জ্বলছে।এপাশ ওপাশ করতে করত রাত পার হয়ে গেলো। ফজরের আযানের ধ্বনি ভেসে আসছে মালিহার কানে। শোয়া থেকে উঠে বসেছে। আরমান ঘুৃমিয়ে আছে।মালিহা এক নজরে আরমানের দিকে তাকিয়ে আছে। ৪০-৪২ বছরের এক সুদর্শন পুরুষ। তাকে দেখে কারো মনেই হবে না। সে অক্ষম কোন পুরুষ। মালিহা একটা দীর্ঘ শ্বাস ফেলে উঠে দাড়ালো। ফ্রেশ হয়ে বাসার সামনে দাড়িয়ে আছে। শান্ত পরিবেশ আধো আলো আধো অন্ধকার। দেখে মনে হবে অন্ধকারের বুক চিরে আলো বেড়িয়ে আসছে।মৃদু মৃদূ বাতাস বইছে। মালিহার মাথাটা একটু ভার ভার লাগছে। এক কাপ চা হলে ভালো লাগতো। তাই মালিহা বেশিক্ষন দাড়ালো না। সোজা রান্নাঘরে চলে গেলো।চুলায় চায়ের পানি বসিয়ে ঝটপট এক কাপ চা করে নিলো। চা খাওয়া শেষ করতে করতে সকালের নাস্তায় কি বানাবে তা ভেবে নিলো। মালিহা সবসময় আরমানের পছন্দ মাথায় রেখেই রান্না করে। তারা হয়তো পৃথিবীর সবচেয়ে সুখি দম্পতি হতো। যদি আরমান তার স্ত্রী কে সুখ দিতে পারতো। আরমান উঠে পড়েছে। ফ্রেশ হয়ে রান্নাঘরের দিকে পা বাড়িয়েছে। মালিহা কি করে তা দেখতে। কাল রাতের ঐ ঘটনার পরে কেউ কারো সাথে এখনো কথা বলেনি। মালিহা রুটিবেলছে দাড়িয়ে দাড়িয়ে। আরমান রান্নাঘরের দরজায় দাড়িয়ে মালিহা কে দেখছে। কলাপাতা রঙের একটা পাতলা শাড়ী পড়েছে। চুলগুলো আধ খোপা করে বাঁধা। কিছু ছোট ছোট চুল মুখে পড়ে আছে। শাড়ির আঁচলটা পিছন ঘুড়িয়ে পেটের নাভির পাশ হয়ে গুজে দিয়েছে। নাভি দেখা যাচ্ছে। এ অবস্থায় মালিহাকে অপূর্ব লাগছে। আরমান নিজ মনে ভাবছে। আমার জায়গায় অন্য কোন পুরুষ হলে মালিহাকে পিছন দিক দিয়ে গিয়ে জড়িয়ে নিতো।পেটের দিক দিয়ে হাত দিয়ে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে গাড়ের কাছে নাক ডুবিয়ে চুম্বন ধারা এক সুখকর মুহূর্ত সৃষ্টি করতো। আরমানের চিনতায় ছেদ ঘটলো মালিহার ডাকে। আপনি এখানে কেনো। যান গিয়ে খাবার টেবিলে বসুন আমি খাবার দিচ্ছি। আরমান বাধ্য ছেলের মতো মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ সূচক সম্মত্তি জানিয়ে চলে গেল। নাস্তা সেরে আরমান তার স্কুলের জন্য তৈরি হয়ে বেড়িয়ে পড়লো। মালিহা বাড়িতে একা। তার শশুড় নেই। পরলোক গমন করেছেন প্রায় বছর ছয়েক হবে। তার শাশুড়ি মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছে। আরমানের একা কোন ভাই নেই। শুধু মাত্র একটি বোন আছে বিয়ে হয়েগিয়েছে বছর চার হয়েছে। বাড়িতে কেউ না থাকায় তেমন একটা কাজ নেই মালিহার। বওছানায় শুয়ে ফোনটা হাতে নিতেই দেখলো রাহুল মেসেজ দিয়েছে। হ্যালো পাগলি! শুভ সকাল। কি কর ?? আমি তোমাকে খুব মিস করছি। মালিহা মেসেজ পেয়ে খুব খুশি। রাহুল তাকে এই প্রথম বার মিস করার কথা বললো। রাহুল তাকে মিস করছে ভেবেই লজ্জায় মালিহার গাল লাল হয়ে গেলো। মালিহা রাহুলের জন্য মেসেজ প্রেরণ করলো মালিহা:শুভ সকাল রাহুল আমি শুধু তোমাকেই ভাবছি। রাহুল: ভাবার কি আছে চলে আসো আমার কাছে মালিহা : তুমি চলে আসো বাড়িতে কেউ নেই। রাহুল: সত্যিই আসবো মালিহা : মিথ্যা মিথ্যা আসতে কে বলে?? রাহুল : তুমি একটু অপেক্ষা করো আমি আসছি। এসে বাকি কথা হবে। ফোনটা রেখে মালিহা আয়নার সামনে গিয়ে দাড়ালো ঠিকঠাক লাগছে শুধু চুলটা একটু ঠিক করে নিয়ে একটু হালকা গোলাপি রঙে নিজের ঠোঁট দুটোকে রাঙিয়ে নিলো। রাহুল পাশের গ্রামেই থাকে প্রায় ৮-১০ টা বাড়ির পড়ে। রাহুল এসে দরজায় নক করাতে। মালিহা দরজা খুলে চারোদিক তাকিয়ে রাহুল কে ভিতরে নিয়ে গেলো। রাহুল কোন কথা না বলে মালিহাকে জড়িয়ে ধরলো। মালিহা একটু অবাক রাহুলের মধ্যে কেমন একটু পরিবর্তন এসেছে মনে হচ্ছে মালিহার। কি হলো মালিহা আমি আসাতে তুমি খুশি হওনি। কেমন একটা চুপ হয়ে আছো। মালিহা তার ভাবনা বাদ দিয়ে মুচকি হেসে বললো কেন খুশী হবো না। তোমাকে একটু কাছে পাওয়ার জন্য কতোটা ব্যাকুল থাকে আমার হৃদয়। তুমি তা জানো না। রাহুল : জানি বলেই তো তোমার ডাকে সারা দিয়ে ছুটে এসেছি। এই বলে মালিহাকে শক্ত করে বুকের সাথে জড়িয়ে নিলো। মালিহা ও এবার সবকিছু ভুলে রাহুলকে জড়িয়ে ধরছে। রাহুল মালিহার ঠোঁটে চুমু আঁকতে আঁকতে শরীর থেকে শাড়ীর আঁচলটা ফেলে দিলো।তারপর হাটু ঘেড়ে মালিহার সামনে বসে পড়ল। নাভি বরাবর চুমু একে দিলো।মালিহা কেপে উঠলো এবং রাহুলে মাথার পেছন দিকে হাত দিয়ে শক্ত করে পেটের সাথে চেপে ধরল। রাহুল এক হাত দিয়ে শাড়ির কুচি গুলো খুলে শাড়িটা সড়িয়ে নিলো। মালিহার নিশ্বাস বেড়েই চলছে।নিশ্বাসের শব্দে রাহুল আরো আকৃষ্ট হচ্ছে। মালিহাকে কোলে তুলে বিছানায় শুইয়ে দিলো রাহুল।একে একে পুড়ো শরীর জুড়ে চুমু একেঁ দিচ্ছে আর আলতো ছোয়াতে মালিহাকে পাগল করে তুলছে। মালিহা আর নিজেকে কন্ট্রোল করতে পাড়ছে না তার নিশ্বাসের শব্দ বেড়ে চলছে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে দুজনার মাঝে। রাহুল ও এবার নিজেকে বিলিয়ে দিতে তৈরি। রাহুল মালিহাকে সমস্ত ভালোবাসা দিয়ে জড়িয়ে নিলো নিজের সাথে। মালিহা ও তার সমস্ত ভালোবাসা উজাড় করে দিলো। দুজনের ভালোবাসা মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছে। পৃথিবীর পরম সুখের দোলায় দুলছে দুজন। রাহুলকে তার বুকের উপর থেকে সরিয়ে এক পরম তৃপ্তি হাসি দিলো।...... ..........চলবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন