আমি রাহুলকে ধাক্কা দিয়ে চলে যাওয়াতে রাহুল রাগ করেছে। আমি তাকে কি করে বোঝাবো যে আমিও উপোভোগ করতে চাই তাকে। আমার আবেগ, আমার অনুভুতি স্বপ্নের আলিঙ্গনে তৃষ্ণার্থ হয়ে জমে আছে বুকের মধ্যে। তাকে নিয়ে আমার স্বপ্নটা হঠাৎ যেন ফিকে রং ধারণ করল। মনটা খারাপ হয়ে গেল। আমি কিছুটা আনমনা হয় বসে থাকি। পরক্ষণে ভাবনা এলো আজ আবার দেখা করি তার রাগ আমার ভাঙ্গাতে হবে। যেই কথা সেই কাজ। তার সাথে আমার সেই আগের জায়গাতেই দেখা হল। রাহুল রাগ করে হাঁটছে কোন কথা বলছে না আমি ও কথা বলছি না। শুধু তার তালে তাল মিলিয়ে হাঁটছি। হঠাৎ রাহুল আমাকে একটানে ওর বুকের কাছাকাছি নিয়ে এলো। কি করছো তুমি? কি হয়েছে তোমার? আর একটু হলে যে নদীর মধ্যে পড়ে যেতে। পাগল মেয়ে। চলো সামনে ওই খোলা জায়গাটায় বসি। অদ্ভুত এক ভালো লাগায় আমি ওর দিকে তাকিয়ে রইলাম। ওর বকুনি যেন মধুর মত বর্ষিত হচ্ছিল। এত ভালো লাগছে কেন! নিজেই বুঝতে পারছিলাম না। যাই হোক আমরা সামনে এগিয়ে একটা সুন্দর ঘাসের গালিচায় বসে পড়লাম.। এক দু মিনিট নীরবে বসে রইলাম। আমি রাহুলকে অনেক পছন্দ করি। আজ ওকে অন্যরকম ভালো লাগছে। ইচ্ছে করছে ওকে জড়িয়ে ধরে বলি, রাহুল আমি তোমাকে ভালোবাসি। রাহুল চলো নৌকায় মা ঝ নদী থেকে ঘুরে আসি। রাহুল সম্মতি জানালো। আমরা একটা নৌকা ভাড়া নিলাম। রাহুল নৌকা বাইছে আমি রাহুলের কাছি বসে আছি। মাঝ নদীতপ এসে পড়েছি।খুব সুন্দর বাতাস দিচ্ছে। আমি রাহুলকে বলি রাহুল আমিও তোমার সাথে নৌকা চালাবো। বলেই রাহুলের কোল ঘেসে বসে পড়লাম। রাহুলকে কিছু বলার সুযোগ দিলাম না রাহুলের হাতে হাত রেখে বৈঠা যে কারো- ই ওকে ভালো লাগবে। আমি রাহুলের বুকে মাথা গুজে দিয়ে চুমু দিলাম। রাহুল আমাকে এক হাত দিয়ে জরিয়ে ধরলো। আমি তখন দুহাতে শক্তকরে আমার বুকের সাথে বেধে নিলাম। রাহুল আমার চুলগুলোতে হাত দিয়ে, মাথাটা ওর বুকের থেকে সরিয়ে ঠোঁটের সাথে ঠোঁট লাগিয়ে চুমু দিতে লাগলো এ যে পাগল করা নেশা। নিজেকে পাগল পাগল লাগছে। রাহুল আমাকে নৌকার চালার নিচে শুইয়ে দিয়ে সমস্ত শরীরে চুম্বন করতে লাগলো আলতো করে পেটের উপর চুমু দিলো আমি রাহুলকে টেনে ঝড়িয়ে ধরলাম।আমরা দুজন দুজনাতে মিলে মিশে একাকার হয়ে গেলাম। এ এক স্বর্গীয় সুখ যেটা পৃথিবীতে ও পাওয়া যায়। এমন সুখ খুব কম মানুষি পায়। এই স্বর্গীয় প্রেমের সাক্ষী হয়ে রইলো এই নৌকা। আমাদের এবার তীরে ফেরার পালা, রাহুল।নৌকার বৈঠা ধরলো। আমি পানির দিকে তাকিয়ে দেখছি আজ পানি কি শান্ত আমার মতো। আজ খুব শান্তি পেলাম। হয়তো এই শান্তি -সুখের খোঁজেই ছিলাম। আকাশ, বাতাস, নদী সব কিছু আমার সুখের সাক্ষি। আমি নৌকা থেকে নেমে বাড়িতে ডুকছি। ডুকতে দেখি আরমান(ও হ্যাঁ আরমান হচ্ছে আমার স্বামী ) দাড়িয়ে আছে বাড়িতে ঢুকার পথে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন