শনিবার, মার্চ ২

পরকীয়া পর্ব- প্রথম

    

আমি আর রাহুল নদীর পাড় ধরে হাঁটছি। একপাশে নদীর টলমলে জল অন্য পাশে সবুজ ফসলের মাঠ। মাঝে মাঝে মাঝির ভাটিয়ালি সুরে নিরবতা ভাঙছে আমাদের। আকাশের  উঁচুতে কিছু গাংচিলকখনো বা ঝাঁকে ঝাঁকে বালিহাঁস উড়ে যাচ্ছে শাঁই শাঁই আওয়াজ তুলে। অদ্ভুত ভালোলাগায় দু'জনেই নীরবে হাঁটছি পাশাপাশি। আমার খুব ইচ্ছে হলো ওর গলায় একটা চুমু দিতে। বললাম রাহুল অনেক সময় ধরেই হাঁটছি। চলো কোথাও নির্জনে গিয়ে বসি। আমরা আর একটু সামনের দিকে এগিয়ে একটা নির্জন রাস্তা পাই। রাস্তার দুপাশে  মাঠ। মাঠের চারোপাশে সবুজের সমারোহ। অপরুপ সাঝে সেজে আছে। কিন্তু খুবই নির্জন। দেখে মনে হবে খুব বিশেষ কাজ না থাকলে এখানে কেউ আশে না। আমি দাড়িয়ে চারোপাশ দেখছিলাম। হঠাৎ রাহুল আমার পিছন থেকে এসে জড়িয়ে ধরে। ঘাড়ের কাছে মুখ ডুবিয়ে দিয়ে আলতো চুমু একেঁ দিলো। আমার খারাপ লাগছে না। এরকম আলতো ছোয়া গভীর নিশ্বাসের সাথে আলতো চুম্বন।  আমি যেনো এরকম কিছুরই আশায় ছিলাম। রাহুল আমাকে তার দিকে ঘুড়িয়ে নিলো। আমি চোখ বন্ধ করে আছি। আমার শ্বাসপ্রশ্বাস যেন বেড়েই চলছে। আমার চিবুকে হাত দিয়ে মুখটা তুলে কপালে উপরের অংশ আমার ঠোঁটে খুব আলতো করে চুষে দিচ্ছে। অন্য হাত দিয়ে রাহুল আমাকে জড়িয়ে আছে।   এক অন্যরকম অনুভুতি। আমার সমস্ত শরীরে এক ভালোলাগার আবেশ ছড়িয়ে পড়েছে। আমি নিজেকে কন্ট্রোল করে রাহুল কে এক ধাক্কায় সরিয়ে দিলাম। যদি কেউ কোন ভাবে দেখে নেয় তখন সমস্যায় পড়ব। রাহুল আজ চলে যাচ্ছি। পরে আবার দেখা করবো। আজ আমার মনটা খুব ফুরফুরে। এক অজানা ভালোলাগা কাজ করছে। রাহুলের  ছোয়াতে আমি পৃথিবীর সব সুখের সন্ধান পেয়েছি।   যা আমার স্বামি  আমাকে দিতে পারে না।   হ্যাঁ আমি মালিহা আমার বয়স ২৫ বছর।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন