বিয়ে উপলক্ষ্যে কেনা ৬'৭" খাটটার দুই প্রান্তে শুয়ে রয়েছে অন্তরা আর আবির। আবির দীর্ঘক্ষণ মোবাইল টেপা শেষে এইমাত্র ঘুমিয়েছে। আর অন্তরা এখনও জেগে....তার দুচোখে তেমন ভাবে ঘুম নামে না বহুদিন।
শুয়ে শুয়ে আকাশ পাতাল ভাবতে থাকে অন্তরা। মাত্র এক বছর এক মাস হয়েছে তার বিয়ের। এরমধ্যে আবার পাঁচ মাস আবিরের চাকরিতে দূরে পোস্টিংয়ের জন্য তাদের আলাদা থাকতে হয়েছে । সেভাবে দেখতে গেলে তার গা থেকে এখনও নতুন বিয়ের গন্ধটাও যায়নি। আর এরই মধ্যে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে এতখানি দূরত্ব!!
Arrange
Marriage হলেও প্রথমবার দেখতে এসেই দুজন দুজনকে পছন্দ হয়েছিল ওদের।
তারপর মাস সাতেকের মধ্যেই শুভ দিন দেখে মালাবদল। ডিসেম্বরের শীতে বিয়ে করেছিল তারা।
দেখাশোনা আর বিয়ের মাঝের সাত মাসের মধ্যেই চুটিয়ে প্রেম করে নিয়েছে সে আর আবির।
ঘোরাফেরা, সিনেমা হলের অন্ধকারে কাছাকাছি আসা, হাত ধরে পার্কে বসা, রাস্তার ধারে মাটির ভাড়ে চা থেকে শুরু করে বেশি করে টক ঝাল দিয়ে ফুচকা খাওয়া..... প্রাকবিবাহ পর্বকে একেবারে চেটেপুটে উপভোগ করেছে তারা।
আবির যে কতটা রোমান্টিক হিসেবে পেয়ে। ঐ সাত মাস ফোনেও রাত জেগে কথা বলতো তারা।
ঘুম যেন চোখের পাতায় নামতেই চাইতো না। অথচ সকালগুলো শুরু হতো কি ফ্রেশভাবে! আসলে রাতগুলো তো ভরে থাকতো ভালোবাসার আদরে। উষ্ণতামাখা কথায়।
আবির শুধু বলতো," যতো কথা আছে এখনই বলে নাও ম্যাডাম, বিয়ের পর একটা মুহূর্তও আমি কথা
বলে সময় নষ্ট করব না।" শিহরিত হতো অন্তরা।
ভবিষ্যতের মধুময় রাতের কথা ভেবে স্বপ্নজগতে বিচরণ করত ও।
বেশীক্ষণ সে জগতে থাকতে পারত না ও, কথার মাঝেই ফোনে ওকে চুমুতে চুমুতে ভরিয়ে দিত আবির।
লজ্জায় লাল হয়ে অন্তরা শুধু বলতো, " ধ্যাৎ, অসভ্য!"
বিয়ের পর আবির তার কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছিল। অন্তরাকে এক মুহূর্তও কাছ ছাড়া করেনি ও।
দিনেরাতে ওর শরীরের সাথে নিজেকে লেপ্টে রেখেছে।
ডিসেম্বরের প্রচণ্ড ঠান্ডার রাতগুলোও আবিরের শরীরের গরমে উত্তপ্ত হয়ে উঠটো অন্তরা।
বিছানায় রাখা লেপকম্বল গুলো একাকিত্তের জ্বালায় জ্বলেপুড়ে ছারখার হতো।
প্রতিরাতে রতিক্রিয়াটা ওদের অভ্যাসে পরীণত হয়েছিল।
তবে সবটাই হতো অন্তরার অনুমতিক্রমে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন