শনিবার, মার্চ ২

পরকীয়া পর্ব- সপ্তম

  


নতুন ভোরের সোনালি সূর্যের আলোর একটুকরো মাহমুদের মুখে পরতে ঘুম ভেঙে যায় মাহমুদের।মাহমুদ উঠে ফ্রেশ হতে নিচে চলে যায়।সবাই কে সকালের খাবারের জন্য ডাকছে চাঁচি (মালিহার আম্মু) মাহমুদেকে  ডেকে বললো বাবা ফ্রেশ হয়েছো এখন খাবারটা খেয়ে যা। এতো কাজের ভীড়ে  ঠিক করে খাওয়া হচ্ছে কি না জানিনা। তাই আয় আমি তোকে খেতে দিচ্ছি। খাবার টেবিলে একটা চেয়ার খালি মালিহার সামনের চেয়ারটা। মাহমুদ মালিহার সামনে বসতে দ্বিধাবোধ করছে। গতো রাতের কথা মনে করে।চাচি আমি পরে খেয়ে নেবো বলে চলে যাচ্ছে মাহমুদ। চাচি হাতটা ধরে বললো পড়ে না আমি বলছি তুই এখুনি খেয়ে নিবি আয় বসতো বলে চেয়ারটা টেনে বসিয়ে দিলো মাহমুদকে।মালিহামুমুটুটুল,আদিল,মাসুদ সবাই এক সাথে খাচ্ছে আর  আজ গায়ে হলুদে কে কি পারফমেন্স করবে কে কোন ড্রেস পড়বে এইসব নিয়ে কথা বলছে।মাসুদ মাহমুকে বলে উঠলো (মাসুদ মাহমুদের ছোট চাচার ছেলেমাসুদ : ভাইয়া আজ তুমি নিজের পছন্দ মতো কোন ড্রেস পড়তে পারবে না ছেলেদের  সবার জন্য হলুদ পাঞ্জাবি রয়েছে তোমাকেও তাই পরতে হবে। টুটুল : ঠিক বলেছ মাসুদ ভাইয়া আজ মেয়েদের হলুদ শাড়ি  ছেলেদের জন্য হলুদ পাঞ্জাবি ধার্য করা হয়েছে এর অন্যথা হবে না। (টুটুল মালিহা  মাহমুদের ছোট ফুপির মেয়েমুমু : যদি এর অন্যথা হয় তবে আমি কবুল বলবো না এই বলে দিলাম আমার বড় ছোট ভাই বোনেদের। মাহমুদতাহলে আর কি করার চাচি মুমুর বিয়েটা ক্যানসেল করে দিতে বলো চাচাকে। মুমুনা বলে চিৎকার দিয়ে উঠে অন্য দিকে সবাই হোহো করে হেসে ওঠে। আসতে পারি বলে মিষ্টি  ফল নিয়ে আরমান দরজায় দাড়িয়ে। হালিমা বেগম আরে বাবা তুমি চলে এসেছ এসো এসো ভিতরে এসো। টেবিলের সবাই চুপ হয়ে আরমানের দিকে তাকিয়ে আছে।।এসো বাবা তুমি আমার সাথে এসো। এই তোদের যার যা লাগে নিয়ে খা আমি আসছি বলে হালিমা বেগম তার জামাইকে নিয়ে ড্রয়িংরুমে চলে গেলেন। আরমানের সাথে মালিহার সব ভাইবোনরা খুব একটা ফ্রি না।হালিমা নাস্তা দিলো আরমানকে আরমান চুপচাপ খেয়ে নিলো। আচ্ছা বাবা তুমি বসো আমি মালিহাকে পাঠিয়ে দিচ্ছি।এই বলে চলে গেলো। বেলা গড়িয়ে সন্ধ্যা হলো গায়েহলুদের অনুষ্ঠান শুরু হলো বাড়ির ছাদে। সব ছেলেরা হলুদ পাঞ্জাবি  মেয়েরা হলুদ শাড়ি পড়েছে। স্টেজে মুমু  তার কাজিনরা বসে ছবি তুলছে আরমান সোফায় বসে আছে সবার সাথে। একে একে মুমুদের প্লান মতো সমস্ত অনুষ্ঠান শেষ হলো। শিড়িদিয়ে নামতে মালিহার সাথে মাহমুদের সামনা সামনি দেখা হলো। মাহমুদ এড়িয়ে যেতেই মালিহা হাত টেনে ধরলো। মাহমুদ ভাইয়া তুমি আমাকে এড়িয়ে যাচ্ছ কেনআসলে গতো কালের জন্য সরি মালিহা। মালিহা উচ্চস্বরে হেসে উঠলো। হাসি থামিয়ে বললো সরি বলতে হবে না। আমার ভালো লেগেছে গতো কালের বিষয়টা তবে হ্যা মাঝে মাঝে আমার সাথে দেখা করলে হবে। কি বলছিস এসব তুই মালিহা। কিছু না পড়ে বলবো তোমাকে এখন গিলটি ফিল করতে হবে না গতো কাল রাতের জন্য এই বলে মালিহা মুচকি হেসে চলে যায়। রাতের খাওয়া দাওয়ার সাদেই হয়েছে। খাওয়া দাওয়ার পার্ব শেষ করে আশে পাশের লোকজন চলে গেলো।  কাল বিয়ে এই বারিতে প্রজাপতি পক্ষ আসবে তাই রাতে বাড়ির মানুষের অনেক কাজ। বাবুর্চিরা  চলে এসেছে রান্নার জোগার হচ্ছে। ঘড়িতে রাত ৩ টা বেজে। চাচা সবাইকে একটু ঘুমিয়ে নিতে বলছে। আরমান রুমে চলে গেলো। আজ আর মুমুর মালিহার সাথে রুম শেয়ার করা হলো না মুমু অন্যদের সাথে শুয়ে পড়েছে। মালিহা রুমে ডুকতেই আরমান তার হাত ধরে তাকে বিছানায় বসিয়ে আরমান  পাশে বসলো। মালিহার কেমন লাগছে আরমানতো নিজের থেকে কখনও মালিহার হাত  ধরে না। আরমানমালিহা এখন তোমার শরীর কেমনমালিহা : অনেকটা ভালো। আরমান মালিহার কপালে একটা চুমু একে বললো আমার লক্ষী বউটা তোমাকে কতো দিন পর দেখলাম। এই বলে বুকে জড়িয়ে নিলো এক টান দিয়ে। মালিহা আরমানের এতো পরিবর্তন দেখে অবাক। কিন্তু কিছু বলছে না সে  আরমানকে জড়িয়ে ধরলো। মালিহা অনেক সেক্সি একটা মেয়ে তাই পুরুষের সান্নিধ্য তার ভালো লাগে। শরীরে একধরনের কম্পন হয় পুরুষদের ছোয়াতে। আরমান মালিহাকে শুইয়ে দিলো আজ আরমান রেডি হয়ে এসেছে কিন্তু মালিহা তো জানেনা তাইতো মালিহার কাছে আরমান কে একটু অচেনা লাগছে। আরমান মালিহার কপালে চুমু আঁকে। মালিহা চোখ বন্ধ করে নেয় মালিহার ধীরে ধীরে উত্তেজনা বাড়ছে আরমান তার সমস্ত শরীরে চুমু আঁকছে জীভ দিয়ে নাভিটা স্পর্শ করে দিতেই মালিহা কেঁপে উঠে। আরমান তার সমস্তটা দিয়ে আজ মালিহাকে খুশি করবে।মালিহা যখন চরম উত্তজনায় আরমান তখন তাকে সুখ দিতে ব্যস্ত চলছে আদিম লীলা খেলা ১ মিনিট হতে না হতেই আরমানের লীলা খেলা শেষ। মালিহা শরীর ঘামছে উত্তেজনায়  সেই সাথে জোড়ে জোড়ে নিশ্বাস নিচ্ছে। আরমান মালিহা কে দেখে বুঝতে বাকি নেই যে আরমান সুখ দিতে গিয়ে অসুখী করে দিয়েছে। লজ্জায় মাথা নিচু করে ওয়াশ রুমে চলে যায় আরমান। মালিহা কাপড় ঠিক করে রুম থেকে বেড়িয়ে সাদের দিকে পা বাড়ায় কেউ কেউ ঘুমিয়ে আছে কেউ নিচে কাজ করছে। মালিহা সাদে গিয়ে মাহমুদ কে খুজে পায় না।সাদে একটা ছোট স্টোর রুম আছে ওটা বিয়ে উপলক্ষে পরিষ্কার করে খাট পাতা হয়েছে। মালিহা সেই রুমের সামনে গিয়ে দেখলো দরজাটা চাপানো তাই ঠেলে দেখতেই দেখে মাহমুদ শুয়ে আছে। অন্যদিকে আরমান ওয়াশরুম থেকে বেড়িয়ে মালিহাকে রুমে দেখতে না পেয়ে একটু ঘাবড়ে যায়।রুম থেকে খুঁজতে যাবে পরক্ষনে আবার পা থেমে যায়। কোন মুখ নিয়ে যাবে সে মালিহার সামনে। তাই আর খুজতে না গিয়ে চুপচাপ শুয়ে থাকে বিছানায়। .............................................................................................................................................(চলবে)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন