রবিবার, মার্চ ১০

ভালোবাসার উষ্ণতা অন্তিম পর্ব

 



 দিন দশেক বাদে অন্তরার নন্দাই মলয় এলেন তাঁর স্ত্রীকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য। সবার সামনেই হাসতে হাসতে বললেন," কি ্যাপার রমোলাআমাদের তো এখনও ডিভোর্স হয়নি। তা তুমি হঠাৎ  সংসার ছেড়ে বাপের বাড়িতে উঠলে যে

নাকি এখানে কারো ডিভোর্স করাতে এসেছো?"


 বৌদিকে সে প্রথম থেকেই হিংসে করে এসেছিল। বিয়ের আগে দাদা বৌদির প্রেমালাপ সে শুনেছে ঘড়ের বাইরে আড়ি পেতে। দাদা বৌদির আঁচল ধরা হলে দাদার কাছে তার গুরুত্ব কমে যাবে আশংকা তার বড়াবড়ই ছিলো বিয়ের পর বৌদির মিশুকে স্বভাবের জন্য অন্যদের কাছে সুখ্যাতি কুড়ালে সহ্যের সীমা অতিক্রম করে যায় তার। সে চাইতো সকল আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে থাকতে।


আর আজ তার স্বামী সকলের সামনে তাকে অপমান করল!! তড়িঘড়ি ওখান থেকে চোলে যায় সে। এদিকে কিছুক্ষণ বাদে মলয়কে দেখা যায় কফিমগ হাতে শালাবাবু আবিরের সাথে গোপন শলাপরামর্শে মগ্ন হতে।সেইদিন বিকেলে তলপিতলপা গুটিয়ে রমোলা চলে যায় বরের সাথে,বলা ভালো যেতে বাধ্য হয়।

আজ অনেক দিন বাদে আবিরের মুখটা ঝলমল করছে। যদিও কারণটা বুঝতে পারে না অন্তরা। বরং উল্টোটাই হবার কথা ছিল বলে মনে হয় তার। বোন এতদিন বাদে চলে গেল আবিরের মন খারাপ হওয়ার কথা ছিলো। যাইহোক মুখে কিছু বলে না সে। এই 'মাসে প্রয়োজন ছাড়া একে অপরের সাথে কথা বলা প্রায় ছেড়ে দিয়েছে তারা।

 

দুপুরে খাওয়ার পর থেকে মাথাটা একটু ধরেছিল অন্তরার। একটা ্যারিডন খেলো সে। সারলো না। অগত্যা একটা মাইল্ড পাওয়ারের sleeping pill খেয়ে ঘুমোনোর চেষ্টা করলো ও। রাত তখন সাড়ে নয়টা কি দশটা হবেঅবির গায়ে হাত দিয়ে ডেকে তুলল ওকে। হাতে তার খাওয়ারের প্লেটবলল, "এই টুকু খেয়ে নাও। নাহলে শরীর খারাপ করবে।অন্তরার হঠাৎ কান্না পেয়ে গেলো। এই আবিরকেই তো সে এতদিন খুঁজছে। কোথায় হাড়িয়ে গেছিলো সে এতদিন

প্লেটটা হাত থেকে নিল বটে তবে বিশেষ কিছু খেতে পারলো না ও। খেতে ইচ্ছা করছে না একদম। মুখের ভিতরটা একরকম বিস্বাদ হয়ে আছে।

 

 

চোখেমুখে ভালো করে জল দিয়ে এসে লেপটা টেনে ঘরটা অন্ধকার করে শুলো অন্তরা। হালকা নীলচে বাতির আলোটা জ্বলছে শুধু। হঠাৎ লেপের মধ্যে একটা উষ্ণ হাতের স্পর্ষ পেলো যেটা তার বহু কাঙ্খিত ছিল। অভিমানে বুক ফেটে যাচ্ছে ওর। হাত সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেও ্যর্থ হলো ও। ততক্ষণে আবির লেপের একপ্রান্তের দূরত্ব পেরিয়ে গায়ের কাছে চলে এসেছে তার। কানের কাছে মুখ নিয়ে বলে, "আমি তোমার অপরাধী অনু। তোমার কাছে ক্ষমা চাওয়ার মতো কোনো মুখ নেই।"

 রমোলার মিথ্যে কথাগুলো শুনে তোমাকে অনেক দূরে ঠেলে দিয়েছিলাম আমি। আজ মলয়দা এসে আমার ভুল না ভাঙালে আমি তো সত্যি মিথ্যের তফাৎটাই বুঝতে পারতাম না।" "উঁহুকাউকে দোষ দিয়ো না। তোমার বিবাহিত স্ত্রীকে তুমি বিশ্বাস করতে পারোনি। আসলে আমাদের সম্পর্কের ভীতটাই দুর্বল। কেবল রাতগুলো উষ্ণ হলেই চলে না গোসম্পর্কের মাঝে সেই উষ্ণতাটাও দরকার। পরষ্পরের প্রতি বিশ্বাসটা খুব দরকার। ছাড়ো ওসব কথাঅনেক রাত হয়েছেঘুমিয়ে পড়ো।ভাবতে পারিনি।"

 অন্তরা আবিরের দিকে পাশ ফিরে শোয়। তার গালে ঠোঁট ঘষে আবির বলে," অভিমানের বরফ গলাতে কটা চুমু লাগবে আমার অনুর

অনেক ঘুম হয়েছে সোনাএবার থেকে রাত জাগার পর্ব শুরু।

প্রবল আশ্লেষে  জরিয়ে ধরে অন্তরাকে।

ঠোঁট,গাল,কপাল,গলায় চুমু দিতে অন্তরার আঁচল নামিয়ে ব্লাউজ খুলে স্তনে হাত বোলাতে থাকে আবির। অন্তরাও আস্তে আস্তে আবিরের সার্ট খুলতে থাকে। হঠাৎই আবির যৌন উত্তেজনার বসে অন্তরার গলায় আলতো করে কাঁমর বসায়। আবিরের দুবাহুর ভালোবাসার বন্ধনে নিজেকে বিলিয়ে দিতে দিতে অন্তরা ভাবে  বছরও শীতে তাদের আর লেপের দরকার হবে না।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন