দিদি বাড়ি এল। সঙ্গে ফুটফুটে একটা ছোট্ট পুতুলের মতো ছেলে।
সবাই খুশি। মিষ্টি বিতরণ হল আশেপাশের মানুষের মধ্যে। কেউ কেউ এসে ছেলে দেখে গেল। দিদি মোটামুটি সুস্থ।
ইন্দ্রাণী পরদিন বাড়ি যেতে চাইল। মেসোমশাই একটু আপত্তি করল
প্রথমে। কিন্তু তার দিকটাও তো দেখতে হবে।
তাই শেষে রাজী হয়ে গেল। ইন্দ্রাণী পরদিনই ফিরে গেল।
কয়েকটা দিন স্বাভাবিক ভাবেই কেটে গেল। গোল বাধল যখন অর্কর বিয়ের দিন ঠিক করার সময় এল।
এ বিয়েতে চন্দ্রানীর ঘোরতর আপত্তি। দুই বোন এক বাড়ির বৌ সেটা সে কিছুতেই মানতে রাজী না।
এ নিয়ে তার স্বামীর সাথেও ভীষণ অশান্তি হল।
তবু বিয়ের দিন ঠিক হয়ে গেল।
দু বাড়ির মধ্যে চুড়ান্ত কথা আগেই হয়ে গেছে।
সেখান থেকে ফেরার প্রশ্ন নেই। চন্দ্রানীর কোনো আপত্তি টিকল না।
আর টেকার তেমন কোনো কারনও নেই।
এমন তো না যে এক বাড়িতে আগে কখনও দুবোনের বিয়ে হয়নি।
আশীর্বাদের পর্ব মিটে গেল। প্রস্তুতি শুরু হল জোরকদমে। শুধু ছেলে নিয়ে এক খাটে শোওয়ার অসুবিধে বলে চন্দ্রানীর বরের অন্য ঘরে আলাদা শোবার ব্যবস্থা হল। সেটা সে নিজেই করে নিল।
যথাসময়ে বৌ হয়ে ইন্দ্রাণী শ্বশুরবাড়ি এল।
এসেই সে সংসারের সব দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিল। বৌভাতের দিনও প্রায় সবটাই নিজে সামলে সন্ধ্যেবেলা সেজেগুজে মন্ডপে গিয়ে বসল।
দিদি কোনোকিছুর মধ্যেই রইল না। ইন্দ্রাণী দুয়েকবার বোঝানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হল। তার নাকি শরীর খারাপ। তাই কিছু বলার নেই। আত্মীয়স্বজন যারা এসেছিল তারা ইন্দ্রাণীকে যথেষ্ট সাহায্য করল, সঙ্গ দিল।
বড় বৌয়ের ব্যবহার তাদেরও ঠিক পছন্দ হল না। বড় পিসিমা একটু ঠোঁটকাটা।
বলেই ফেলল--- "শরীর খারাপ না ছাই, ভিতরে ভিতরে কিছু চলছে।"
সে কথা শুনেও সবাই না শোনার ভান করল।
অশান্তি বাড়িয়ে লাভ নেই। সব পর্ব মিটল।
এবার সবাইকে অবাক করে নিজের ঘরে না গিয়ে ইন্দ্রাণী শ্বশুরের ঘরে গিয়ে ঢুকল। তাকে ঘুম পাড়িয়ে দিতে হবে যে। ইন্দ্রাণীর আচরণে বৃদ্ধ মানুষটার চোখ ঝাপসা হয়ে উঠল। সস্নেহে তার পিঠে হাত বোলাতে বোলাতে বলল---"অনেক ধকল গেছে মা। আজ তুই আর সময় নষ্ট করিস না। ঘরে যা, নাহলে আমার খারাপ লাগবে।"
"তোমাকে ঘুম পাড়িয়ে না দিয়ে গেলে আমি যে শান্তি পাব না বাবা।"
অগত্যা বৃদ্ধ নিমেষের মধ্যে ঘুমিয়ে পড়ল। ইন্দ্রাণীও নিজের ঘরে গেল। ইন্দ্রাণী উঠে যেতেই বৃদ্ধ মানুষটা তাকে বুকভরা আশীর্বাদ করতে লাগল।
মনে হল তার আর চিন্তা নেই। এ সংসারে সত্যিকারের দূর্গা এসে গেছে।
সাধারণ নিয়মের ব্যতিক্রম ঘটল আজ। বৌকে ঘরে পৌঁছে দিতে গেল না কেউ। সবাই যে যার মতো শুয়ে পড়েছে। সেটা অবশ্য কারো দোষ নয়। সবাই তো ইন্দ্রাণীকে পৌঁছে দিতেই চেয়েছিল। ইন্দ্রাণী রাজী হয়নি।
সেই সবাইকে বলেছিল----" বাবাকে ঘুম পাড়িয়ে নিজেই চলে যাবে। সবাই যাতে শুয়ে পড়ে।"
তার কথাতেই সবাই গিয়ে শুয়ে পড়েছে।
শুধু বড়পিসি গজগজ করেছে একটু।
ফুলশয্যার খাটে ঘোমটা টেনে বসে রইল না নতুন বৌ।
বরের ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে বৌয়ের ঘোমটা খোলা হল না।
একা একা শুয়ে মোবাইল টিপতে লাগল অর্ক।
ইন্দ্রাণী ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে বলল--- " এ বেশেই আসব, নাকি জামাকাপড় পাল্টে আসব?" ------"রাত বেশি বাকি নেই। সব ছেড়ে এলেই তো ভালো।"
------"তর সইছে না যেন?"
------"সেটাই স্বাভাবিক নয় কি?"
ইন্দ্রাণী আর কোনো কথা না বলে যেমন ছিল সেভাবেই খাটে উঠে অর্কর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ল।
#######################################################
ছেলে নিয়ে একা ঘরে চন্দ্রানীর ঘুম আসে না। রাগ হয়। কটা দিন বাড়ি ছিল না আর তার মধ্যেই এতো! মেয়েটা সবাইকে বশ করে নিল।
সবচেয়ে বেশি রাগ তার নিজের বরের উপর। একবার আলোচনা করার দরকারও মনে করল না তার সাথে? বোনের উপর হিংসে তার আজকের নয়। ছোট থেকেই মনে হত সবাই বোনকে বেশি ভালবাসে।
বাস্তবেও সবাই ইন্দ্রাণীকে একটু বেশিই পছন্দ করত।
সেটা যে তার বিশেষ গুনের জন্য, তার ব্যবহারের জন্য সে কথাটা
কখনই বুঝতে চেষ্টা করেনি। শুধু হিংসে করে গেছে। আজ সেই বোন তাকে হারিয়ে দিয়েছে। যখন তার কাছে সাহায্য চেয়েছিল তখন বলেই দিয়েছিল এটা সম্ভব নয়। দরকারে হেস্তনেস্ত করবে।
তার স্বামী চরিত্রহীন নয় বলে খোঁচা দিতেও ছাড়েনি ।
সে আজ এ বাড়ির বৌ হয়ে গেল। আর তার কথা কেউ পাত্তাও দিল না। রাগে ফুঁসতে থাকে চন্দ্রানী।
আর তার বর অন্য ঘরে শুয়ে নিজের কৃতকর্মের জন্য অনুশোচনা করে। কিন্তু অনুশোচনা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় না। তার মনে হয় এ বিয়েটা হবারই ছিল। সে কোনো ভুল না করলেও এটা ঘটতই। বিধাতার ইচ্ছে। সে শুধু অনুঘটকের কাজ করেছে। ঘটনাটা একটু তাড়াতাড়ি ঘটিয়েছে এই যা। কিন্তু চন্দ্রানীর রাগ সত্যিই অমূলক।
তার তো কিছু অসুবিধে হয়নি। তাহলে? এবারে মনে হয় চন্দ্রানী সত্যিই খুব হিংসুটে। নিজের বোনের ভালটাও সহ্য করতে পারে না। ছিঃছিঃ এমন মেয়ে তার বৌ। দুঃখ হয়, রাগ হয়। চোখ ঝাপসা হয়ে আসে তার।
#######################################################
অর্ক একহাতে ইন্দ্রাণীকে জড়িয়ে ধরে বলে---- " এই রাতটা তো স্পেশাল। গল্প করে জেগে কাটানোর রাত তাইনা?" ------"একসময় তাই জানতাম। এখন মনে হচ্ছে ওটা আমাদের জন্য নয়।" ------"মানে?" ------"মানে একদম যারা নতুন তাদের অজানা গল্প থাকে, দুজন দুজনকে জেনে নেবার দায় থাকে। তো আমাদের সে সব আছে নাকি?" ------"তা ঠিক।" ------"ফুলশয্যা নিয়ে কত ভাবনা থাকে ছেলেমেয়ের। মেয়েদের কতো সংকোচ, ভয়।"
------"কি করে জানলে?"
------"শুনেছি।"
------"ও তাই বলো।"
------"আমাদের সে সব তো অতীত।"
------"হুম। কোনটা ভালো মনে হয়।"
------"জানিনা।"
কথা বলতে বলতে অর্ক ইন্দ্রাণীর গায়ে হাত বুলিয়ে দিতে গিয়ে বলে---"এটাকে কি বলে যেন? চেলি না?"
------"হুম।"
------"খুব খসখসে।"
------"অসুবিধে হলে সরিয়ে দাও।"
------"দেবই তো।"
অর্ক একটা একটা করে সব খুলে একপাশে রাখে।
শুধু ইনার সম্বল ইন্দ্রাণীকে শুইয়ে দিয়ে তাকিয়ে থাকে।
ইন্দ্রাণী চোখ বন্ধ করে। অর্ক বলে---"ঘুম পায় বুঝি? চোখ বন্ধ করলে যে।" ------"নতুন বৌ, লজ্জা লাগে না?"
------"ওরে আমার লজ্জাবতী। মেয়ের লজ্জা ছিল না, এখন বৌ হয়ে লজ্জা!"
------"বাজে বোকো না। তখনো আমার খুব লজ্জা করেছিল। তুমি তো খেয়াল করার অবস্থায় ছিলে না। কতক্ষণে-----"।
------"তাই বুঝি?"
------"হুম।"
অর্ক আস্তে ইন্দ্রাণীর পায়ের কাছে গিয়ে বসে। মুখ নামিয়ে তার পায়ের আঙুল চুষতে শুরু করে। ইন্দ্রাণী কেঁপে ওঠে। বলে---"এই কি করছ? পাপ হবে আমার।"
------"সকালে একটা প্রনাম করে পাপস্খলন করে নিও।"
হেসে ওঠে দুজনেই। অর্ক আস্তে আস্তে উপরে লেহন করতে থাকে।
উরুতে আলতো কামড় দেয়। -----"উমমম্।"
-----"লাগল?"
-----"উঁহু।"
অর্ক আরো আরো উপরে যেতে থাকে।
তলপেট, নাভি হয়ে বুকের মাংসপিন্ড, গলা, চিবুক।
সবশেষে গোলাপী পাতলা ঠোঁটে গিয়ে পৌঁছয়।
হাত স্লাইড করতে থাকে ইন্দ্রাণীর তলপেটে, আরো নীচে।
ইন্দ্রাণী গোঙাতে গোঙাতে শরীর মোচড়াতে থাকে। -----"অর্ক, সোনা, আর পারছি না। আর কষ্ট দিওনা। এবার কিছু করো। উঃ আমমম্।"
অর্কর শরীরের ভার শরীরে নিয়ে তাকে দুহাতে চেপে ধরে। দুটো শরীর একসাথে মিশে যায়। ঝড়ের দাপাদাপি শুরু হয়।মচমচ শব্দ, ফোঁস ফোঁস আওয়াজ, গোঙানির মত শীৎকার মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। ঝড় চলতে থাকে, চলতেই থাকে। শুকনো হাওয়া শুধু।
বৃষ্টির দেখা নেই। আসন পাল্টে পাল্টে যায়। উদ্দাম হয়ে মেতে থাকে। সুখের আবেশে পাগল হয়ে ওঠে। এ যেন "নদী আপন বেগে পাগলপারা"। কিন্তু চলার শেষ নেই। বহমান নদী বয়ে চলেছে অনন্তকাল ধরে। ঝড়ের নামবে না?
অর্ক বলে---"কি খবর সোনা?"
-----"কোনো খবর নেই গো।"
------"কি হল আজ? বৃষ্টি কি নামবে না?"
------"কি জানি?"
------"হুম আজ মনে হয় সারারাত ঝড় চলবে।" -------"চলুক না, ভালো লাগছে তো।" সুদীর্ঘ রাত ঝড় বয়ে গেল, বৃষ্টি সত্যিই হল না। সকালের আলো ফুটছে। ঝড় থামল। অর্ক আস্তে করে নীচে নেমে গেল।
তারপর মুখ নীচু করল। তার জিভ তলিয়ে গেল সাগরের অতলে। সেখানে অমৃত সন্ধান করতে লাগল প্রাণপণে।
ইন্দ্রাণী করে ----"উঃ আমমম্ উমমম্।" চেপে ধরল অর্কর মাথা।
বৃষ্টি নামল বুঝি এতক্ষণে। অর্ক উঠে দাঁড়ায়।
ইন্দ্রাণীও উঠে বসে তার কোমর জড়িয়ে ধরে। পিপাসার্ত চাতকিনির মতো একবিন্দু বৃষ্টির জল পান করতে উন্মুখ হয়।
গরম হলকা অর্কর শরীরে। জোরে বৃষ্টি নামে। চাতকিনির পিপাসা মেটে। ভোরের আলো এসে পড়ে জানলা দিয়ে।
ইন্দ্রাণী নিজেকে গুছিয়ে বেরিয়ে যায়।
নতুন বৌ সকালে না উঠলে পাঁচজনে পাঁচ কথা বলবে যে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন