স্বর্গ:তারপর??তারপর আর কি পুলিশ আমায় arrest করে আমাদের অত পাওয়ার নেই ওদিকে এই ব্যাপারে পার্টি পলিটিক্স জড়িয়ে গেছে।তবে একজন আমার পাশে সবসময় ছিল সে হল রঞ্জন্ দা।আমি বেশ ভরসা পাই।দিনের পর দিন কেস চলতে থাকে আমার বাবা মায়ের যা টাকা পয়সা জমানো ছিল সব ফুরিয়ে যেতে লাগলো বাবা যদিও চাকরি করত তবুও তা সামান্য।
উকিল প্রতি শুনানি পিছু ২৫হাজার করে নিত যা আমাদের ঘরে বিলাসিতা।রঞ্জন দাও যথা সাধ্য সাহায্য করত কিন্তু সে নিজেই সামান্য একজন ছাত্র নেতা তাই তার ক্ষমতাও তেমন নয়।আর তাছাড়া বেশির ভাগ প্রমাণ আমার বিরুদ্ধে ছিল তবে স্ট্রং কোন প্রমাণ ছিল না যে ওই লোকগুলোর মধ্যে আমি ছিলাম তাই বেশ কিছুদিন কেস চলার পর আমি জামিন পেয়ে যাই এখনো আমায় গিয়ে প্রতি মাসে হাজিরা দিয়ে আসতে হয়।তারপর অনেক কষ্ট করে আমায় এই নরমাল লাইফে ফিরতে হয় অনেক টাইম লেগে যায়।
তবু মা বাবা কখনও আমার সাথ ছাড়াও করেনি তাঁদের আমার ওপর পূর্ণ বিশ্বাস আছে যে আমি নির্দোষ এমন কি আমি নিজেও মনে প্রাণে জানি আমি কিছু করিনি আমি ওকে মন থেকে ভালোবাসতাম কিন্তু কি থেকে কি যে হল।তবে আজও জানা গেল না কি হয়েছিল স্রোতের সাথে আর ওই সন্তান ই বা কার।জানিনা আজও বা তা আর কোন দিন তা কেউ জানতে পারবে কি না।।তা তুমি তো সবটা শুনলে জানলে কি বুঝলে কি ভাবলে জানি না তবে এটাই জানতে চাই যে তোমার উত্তর কি।বিশ্বাস করো নিজেকে অনেক বুঝিয়েছিলাম যে নিজের এই কলঙ্কিত জীবনের সাথে তুমি বড্ড বেমানান তবে ওই বেহায়া মন ………
নূপুর:তা আপনার কি থেকে মনে হল আমার জীবন সুন্দর আর আপনিই না বললেন যে আপনি জানেন আপনি নির্দোষ তাহলে?নিজের ওপর বিশ্বাস হারিয়ে ফেলছেন কেন?আর আপনি নিজের জীবন কে কলঙ্কিত বলছেন কেন?এটা একটা মিথ্যে অপবাদ আর বড়জোর নাহলে ষড়যন্ত্র।আমার উত্তর হল এই যে আমি আপনার সাথে আমার বাকি জীবনটা কাটাতে চাই।
স্বর্গ:কি??সত্যি বলছ?সত্যি বলছ তুমি?
নূপুর:হ্যা।
স্বর্গ:তবে একটা শর্ত আছে।
নূপুর:কি?
স্বর্গ:এই আপনি আজ্ঞে ছেড়ে আগে তুমি করে বলো। নূপুর:ঠিক আছে।ওগো কি বলো চলো প্রেম করি হুম চলবে? স্বর্গ:দৌড়োবে।
নূপুর:(মনে মনে)তবে তুমি যাই বলো আমি এর সত্যি উদ্ঘাটন করবোই তবে কোথা থেকে শুরু করবো বুঝতে পারছি না তবে এটুকু জানি করতেই হবে শুধু তোমার জন্য।।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন