বুধবার, জুন ২৮

পরকীয়া পর্ব- নবম

 


আরমানের চলে যাওয়াতে মালিহা বেজায় খুশি। মালিহা ভাবছে আজ আর আরমানের সাথে রুম শেয়ার করতে হবে না সে একা। এই কয়েক দিনের পরিশ্রমে সবাই ক্লান্ত তাই আজ সবাই গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন থাকবে।সেই সুবর্ণ সুযোগে মালিহা  মাহমুদ কে নিয়ে স্বর্গরাজ্য থেকে ঘুরে আসবে। রাতের জোসনা গায়ে মেখে দুজন দুজনাতে ভেসে যাবে আজ যে করেই হোক তৃপ্তির বাধ ভাঙা জোয়ার চায় মালিহা। মায়ের ডাকে মালিহার ভাবনায় বিচ্ছিন্ন ঘটে। মালিহা মা তোর সাথে তো তেমন ভাবে কথাই বলা হয়নি মুমুর বিয়ের ব্যস্ততার কারণে। চল আজ মা মেয়ে একসাথে একটু সময় কাটাবো। রাতের খাওয়া শেষে তুই আর আমি একসাথে তোর রুমে শোবো এই কথা শুনে মালিহার মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়লো। মালিহা কোন কথা বললো না পুতুলের মতো দাড়িয়ে মায়ের দিকে তাকিয়ে কথা গুলো শুনে গেলো। মা মালিহার হাত ধরে টেনে বারান্দায় নিয়ে গেলো। মালিহা কোন ভাবে মাহমুদের সাথে দেখা করতে পারছিলো না।ঘড়িটার দিকে তাকিয় দেখলো ৬:৩০ পিএম বেজে তাই মা লাইলি খালাকে ডেকে তিন কাপ চা দেয়ার জন্য বললো। লাইলি খালা হলেন আম্মু বোন ধর্ম বোন বানিয়েছে কিন্তু খালা আপন বোনের মতো  মনে করে আম্মুকে। আমাদের কে নিজের সন্তানের মতো দেখেন।তার এই পৃথিবীতে আপন বলতে কেউ নেই আমরা ছাড়া। খালা তিন কাপ চা নিয়ে আসে দু 'কাপ বারান্দায় রাখা ছোট একটা টুলের উপরে রেখে বাকি কাপ নিজে হাতে নেয়। আম্মু চায়ের একটা কাপ হাতে নিতে নিতে প্রশ্ন ছুড়ে দেয় মালিহা মা তোর বিয়ের দিনতো ভালোই হলো দেখতে দেখতে এবার  তো আমাদের নাতি নাতনি  নিয়ে খেলার বয়স। তা কবে আসছে নতুন অতিথিগন মালিহা মনে মনে বলছে নাতি নাতনির মুখ কি করে দেখবে সেতো আমার কাছেই আসে না যদি বা দুদিন আসার চেষ্টা করেছিলো কিন্তু কি লাভ শেষ পর্যন্ত যেতে পারে না। কি হলো মালিহা কথা বলছো না যে কি এতো ভাবছ? মা তোমায় কিছু জিজ্ঞাসা করছে মালিহা নিজেকে সামলে বললো না কি হবে তোমরাও না কি যে বলো। এতো তাড়াতাড়ি আমি কোন বাচ্চা নিতে চাইনা। এই বলে মালিহা উঠে চলে যায়। লাইলি হালিমা একে অপরের দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসি দিলো।লাইলি বললো মেয়ে আমার লজ্জা পেয়েছে। ময়লিহা আম্মার রুম থেকে বের হয়ে সাদে উঠতে সিঁড়িতেই মাহমুদের সাথে ধাক্কা লাগে। মাহমুদ আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরে তাকে পরতে দেয় না। মালিহার  মাহমুদের চোখের দিকে তাকিয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করে। আজকে কি আমায়া তোমার পরশের একটু শান্তি দিবে?? কারো আসার আওয়াজে মাহমুদ মালিহাকে ছেড়ে চলে যায় কোন উত্তর না দিয়ে। মালিহা উত্তর না পেয়ে হতাশ হয়। রাত ১০:৩০ বাজে সবাই খাবার টেবিলে এক সাথে রাতের খাবার খেতে বসেছে।মাহমুদ মালিহার পাশের চেয়ারে বসেছে। হালিমা বেগম খাবার দিচ্ছে লাইলি খালা তাকে সাহায্য করছে। মালিহা বাম হাত দিয়ে টেবিলের নিচ থেকে মাহমুদের লুঙ্গীর উপর দিয়ে পুরঞ্জনটা হাত নিয়ে আলতো করে চাপ  দিচ্ছে। মাহমুদের পুরঞ্জন ধীরে ধীরে সতেজ হয়ে উঠছে। মাহমুদের ভালে লাগছে তাই সে মালিহার হাত সড়িয়ে দিচ্ছে না। মালিহা মাহমুদের দিকে তাকিয়ে আছে খেতে খেতে মাহমুদ হঠাৎ চোখ বন্ধ করে নিলো। মালিহা মা আর কিছু দেবো তেমাকে বললো হালিমা বেগম। মালিহা হাতটা সড়িয়ে নিয়ে বললো না আম্মু আমার পেট ভরে গিয়েছে। অনেক দিন পর এতো মঝা করে খেলাম। আচ্ছা ঠিক আছে তুমি এবার উঠে যাও যারা বাকি আছে তারা খেতে বসবে। মাহমুদ বেসিনের সামনে দাড়িয়ে ব্রাশ করছে। মালিহা ব্রাশ করার বাহানায় একটা ব্রাশ নিয়ে মাহমুদের পাশে দাড়িয়ে ফিস ফিস করে। জিজ্ঞাসা করেছে মাহমুদ এদিক ওদিক তাকিয়ে বললো তুমি চলে এসো সাদে।আমি সাদের ছোটরুমটায় থাকব মালিহা শুনে খুশী হয়ে চলে যায়। ঠিক ঠিক করে ঘুরছে ঘড়ির কাটা কিন্তু মালিহার মনে হচ্ছে সময় একি জায়গায় আটকে আছে। মালিহা কলেজে পড়ার সময় বান্ধবীদের কাছে শুনেছিলো অপেক্ষার প্রহর দীর্ঘ হয়।কিন্তু বিশ্বাস করতো না আজ বুঝতে পারতেছে। মালিহা জানালার পাশে বসে অপেক্ষা করছে জানালা খোলা থাকায় উত্তরের মৃদু মৃদূ ঠান্ডা বাতাস এসে মালিহাকে ছুয়ে দেয়। মালিহার সমস্ত শরীর জুড়ে শিহরণ জাগায়। মালিহার কামনা যেন বাতাস এসে বাড়িয়ে দিলো। মালিহা মাহমুদের কাছে যাওয়ার আগে নিজেকে একটু নতুন রুপে  সাজিয়ে নিয়েছে,  রুম থেকে বের হয়ে  অন্য সবার দরজা বাহির থেকে লক করে দিয়ে। সাদের উদ্দেশ্যে চললো।

 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন