স্বর্গ:আমি তখন কলেজ এ পড়ি ওই 2nd year.আমার সাথে একটা মেয়ের আলাপ হয় মেয়েটা নতুন ভর্তি হয়েছে কলেজ এ।দারুণ দেখতে।কলেজ এর সব ছেলেরা ওর পেছনে পাগল হয়ে পরে ছিল আমিও পছন্দ করতাম তবে বলে উঠতে পারিনি।নাম ছিল স্রোতস্বিনী।সবাই ওকে স্রোত বলে ডাকতো।ওর নামের সাথে ওর মুখের দারুণ মিল।ও হাসলে মনে হত যেন পাহাড়ি ঝর্নার স্রোত আনন্দে নিচে ঝরে পড়ছে।
আমিও তখন কলেজ ইউনিয়ন এ পার্টি করতাম নিতান্তই টাকার প্রয়োজনে অতটাও এক্টিভ ছিলাম না কিন্তু আমার ব্যাবহারে সবাই খুব পছন্দ করত আমাকে।আমাদের দলের পাণ্ডা মানে সভাপতি রঞ্জন্ দা ওকে খুব পছন্দ করত লাইন ও মারতো কিন্তু ও পাত্তা দিত না একবার তো আনুয়াল প্রোগ্রামের দিন সবার সামনে ওকে ডিরেক্ট প্রপোস করল ও ও সাথে সাথে reject করে কিন্তু আরেকটা কাণ্ড ঘণ্টায় যেটা কেউ কল্পনা করতে পারেনি ও বলে আমি একজন কে ভালোবাসি নাম স্বর্গ।তোমাদের ই দলের।।
নূপুর:তারপর....? স্বর্গ:তারপর?আমি তো ভয় পায়ে যাই একেই রঞ্জন্ দাকে reject করে আমায় তার ওপর বিরোধী দলের ছেলেরা রাগে ফুসছে।যে ওরা এতদিন ধরে লাইন মারছে অথচ ও আমায় পছন্দ করে।আমি ভাবলাম রঞ্জন দ্য বুঝি আমায় মারবে কিন্তু না সে সবাই কে অবাক করে দিয়ে বলে ঠিক আছে।সে আমাদেরকে এক হতে সাহায্য করে তাই তখন কলেজের কেউ আমাদের ওপর চোখ তুলে তাকাতে পারিনি।
আমরা খুব ভালো ভাবে মিশতাম আমাদের মধ্যে যা ছিল মানসিক কোন শারীরিক সম্পর্কে ছিল না।ও খুব ভালো বাড়ির মেয়ে ছিল বড়োলোক না হলেও আমাদের থেকে অবস্থা বেশ ভালো ওর বাড়ির থেকেও সম্পর্কটা মেনে নেয়।আশীর্বাদ হয় যায়।ও তখন আমার সাথে শারীরিক ভাবে মিলিত হবে হবে বলে খুব জোরাজুরি করতে থাকে।কিন্তু আমি রাজি ছিলাম না যোগাযোগ করতে পারিনি ও কলেজ আসেনি এমনকী বাড়িতে ফোন করেও পাইনি বেশ দুশ্চিন্তা হয়
এরপর কেটে যায় দু মাস আমি অনেক চেষ্টা করি কিন্তু কোন খবর নেই তারপর একদিন বিকেলে দরজায় করা পরে মা দরজা খুললে দেখে পুলিশ দাঁড়িয়ে আছে যা আমাদের বাড়িতে অফে কখনও হয়নি।ওরা আমাকে arrest করে কি না আমি নাকি ওকে রেপ করে খুন করে দিয়েছি তারপর নাকি বডি গুম করে দিয়েছি।
আমি কিছু বলতেও পারছি না কেন না postmortem রিপোর্ট এসেছে ওর শরীর থেকে ওর ওপর নাকি গত দুমাস ধরে নির্মম শারীরিক অত্যাচার করা হয়েছে।ওকে নাকি যখন খুন করা হয় ও নাকি এক মাসের প্রেগনেন্ট।আমি তো সব শুনে অবাক।।।।। নূপুর:তারপর? -----------
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন