নূপুর:রিতজা তোমরা ভয় কেন পাচ্ছ বলত?উনি কি ক্লাস নেন?ওনার পুরো নাম কি?
রিতজা:সে আমরা ভয় কেন পাচ্ছি সেটা তুমি উনি আসলেই বুঝতে পারবে।উনি rhythm এর ক্লাস নেন,রিদম কিভাবে নাচে ব্যবহার হয়, কীভাবে পায়ের তালের সাথে গানের সুর মিলিয়ে নাচ হয় এইসব।আর তোমার শেষ প্রশ্ন: ওনার নাম কি তাইতো?ওনার নাম স্বর্গদীপ্ত Roy Choudhury।এবার চুপ করো উনি আসছে।
স্বর্গ ক্লাসে ঢুকতেই সবাই উঠে দাঁড়ালো।উনি হাতের ইশারায় সবাই কে বসতে বল্লো।উনি নিজে বসে সবে লেকচার আরম্ভ করতে যাবে এমন সময় চোখ পড়ল নুপুরের ওপর।
স্বর্গ:তুমি কে?এই ক্লাসে কি করছো?দুসপ্তাহ হয়েছে নতুন ব্যাচ স্টার্ট হয়েছে কিন্তু তোমাকে তো দেখিনি?তুমি নতুন?নাম কি?(গম্ভীর ভাবে)
নূপুর:স্যার আসলে আমি নতুন ভর্তি হয়েছি তাই।আমি নূপুর চ্যাটার্জি।
স্বর্গ:হুম..।বসো
বলে নুপুরকে ভালো করে খুঁটিয়ে দেখতে লাগলো বাহ বেশ ভাল তবে পড়ালেখায় আর নাচে কেমন সেটা দেখতে হবে।(মনে মনে)
স্বর্গ:তুমি কি নাচ শিখেছ?
নূপুর:ভারতনাট্যম,ওডিসি।
স্বর্গ:বেশ।বসো।
স্বর্গ নুপুরের হাতের নয়া বা মাথায় চুলের ফাঁকে এক বিন্দু সিঁদুর খেয়াল করেনি।। আর এদিকে নূপুর (মনে মনে)বা ওনাকে তো বেশ ভালো লাগলো কই উনি তো রাগী নন একটু গম্ভির শুধু।ওনার ড্রেসিং সেন্স খুব ভালো তো।
আসলে স্বর্গ একটা জিন্স এর প্যান্ট আর দুধে আলতা পাঞ্জাবী পরেছে।মুখে কিছুটা চাপ দাড়ি আর গায়ের রংটা শ্যাম বর্ণ।চোখে চশমা।মুখখানি দারুণ দেখতে।চোখ গুলো একটু ঘোলাটে তবে চসমার আড়ালে থাকলেও একমনে ওনার পড়ানো সুঞ্ছে যেন ও স্যার এর চোখে হারিয়ে গেছে।তা লক্ষ্য করে স্বর্গ নুপুরের চোখের সামনে তুড়ি বাজায় বলে কি দেখছ? নূপুর:ক...কই কিছুনা তো।(ইতস্তত হয়ে)
স্বর্গ:ভালো। এমন সময় ক্লাস শেষ হয় যায়।স্বর্গ বেরিয়ে যায়। নূপুর:রিতজা তোমরা যে বললে উনি খুব রাগী কই উনি তো কি শান্ত।একটু গম্ভির এই যা।
রিতজা:তবে সাবধান।উনি স্টুডেন্টদের সাথে পড়াশোনার বাইরে কোন কথা বলে না।ওনার কিছু পার্সোনাল প্রব্লেম আছে তো তাই।উনি ওনার পার্সোনাল জিনিসে কাউকে মাথা ঘামাতে পছন্দ করে না।
এরপর বাকি ক্লাস করে কলেজ ছুটি হয় ও বাইরে এসে দেখে নীলাভ গাড়ী পাঠিয়ে দিয়েছে। নূপুর গাড়িতে উঠে বাড়ি চলে যায় আর সারা রাস্তা শুধু ওর স্বর্গ র চোখ দুটো মনে পড়ছে কি যেন আছে ওই চোখ দুটোই।কি মায়ায় ভর্তি।সারাটা দিন শুধু চেয়ে থেকে কাটিয়ে দেওয়ায় যায় ওই চোখ দুটোতে। নূপুর:কিন্তু আমি এসব কি ভাবছি।ছি ছি ।না নূপুর নিজেকে সামলা।(মনে মনে)
এদিকে স্বর্গ র ও একই অবস্থা।ওর শুধু নুপুরের মুখ আর চোখ খানি মনে পড়ছে।সে ও নিজেকে সামলাতে চাইছে কিন্তু পারছে না নিজেকে বোঝাতে চেষ্টা করছে যে তার জীবনে কারোর কোন অস্তিত্ব থাকা সম্ভব. নয়।
নূপুর বাড়ি ফিরে আসে সব কিছুই ঠিক আছে নরমাল নীলাভ বাড়ি ফিরে আসে কিন্তু নিলাভর আজ অনেক গুলো সার্জারি ছিল তাই ও বেশ ক্লান্ত কোন কথা হয় না।দুজনে ডিনার করে শুয়ে পরে।
শুয়ে শুয়ে,, নীলাভ:নূপুর একটা ইম্পর্টেন্ট কথা ছিল।আসলে আমাকে আগামী 10 নভেম্বর আমেরিকার যেতে হবে মেডিক্যাল কনফারেন্স আছে।15 দিনের ট্রিপ ফিরে আসব তাড়াতাড়ি ততদিন তোমাকে একা একা থাকতে হবে মা বাবা আসতে পারবে না ওখানে ধান কাটার সময় হয় এসেছে তাই তোমাকে একা করে নিতে হবে প্লিজ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন