Breaking

বুধবার, জুন ২৮

পরকীয়া পর্ব- একবিংশ

 


আরমান দারজায় দাড়িয়ে মালিহাকে দেখছে। কতোটা ব্যাকুল নয়নে মালিহা এদিক ওদিক তাকিয়ে আরমানকে খুজছে। এর আগে মালিহার চোখে এতোটা ব্যাকুলতা দেখেনি। ব্যাকুলতা ভরা নয়ন দেখতে এতোটা সুন্দর মায়াবী হয় আরমানের আগে জানা ছিলো না। অল্প বয়সে কতো মেয়েই তো সে দেখেছে কিন্তু এতো সুনয়না কখনও সে দেখেনি। আরমান কি মালিহাকে পরিপূর্ণ ভালোবেসে সুখী করতে পারবে। একটা মেয়ে যে ভালোবাসার স্বপ্ন নিয়ে স্বামীর ঘরে পাড়ি জমায় তা কি সে পূরণ করতে পারবে। একটা অজানা আতঙ্ক আরমানকে ঘিড়ে রাখে সবসময়। আমি তোমাকে সমস্ত বাড়ি খুজে খুজে হয়রান আর তুমি মায়ের ঘরে। সারদিনে তো কিছু খাওয়া হয়নি চলো খেয়ে নিবে।আরমান বাধ্য ছেলের মতো  মাথা নেড়ে মালিহার সাথে চললো। আজ নিজেকে অন্যরকম লাগছে সবকিছু ভুলে নতুনত্বের সাথে চলতে ইচ্ছে করছে সংসারকে ভালোবাসতে ইচ্ছে করছে। বাবুই পাখির মতো নিজের হাতে গড়তে ইচ্ছে করছে মালিহার। মালিহার স্বপ্নরাজ্যে কতো স্বপ্ন রঙ খেলছে। ভালোবেসে হেসেখেলে টোনাটুনির এই ছোট্ট সাম্রাজ্য ভালোই চলছিলো। মালিহা সব কিছু ভুলে নিজেকে আরমানের ভালোবাসার কাছে সপে দিয়েছিলো। কিন্তু কথায় আছে সুখ চিরস্থায়ী হয় না। দুঃখ না এলে সুখকে উপলব্ধি করা যায় না। মালিহা খুব করে চাইছে আরমান মালিহার এই ছোট্ট খুশির বাগানে আর একটি খুশির ফুল ফুটুক। মালিহার আবদারে আরমান খুশি।কিন্তু আরমানের বয়সটা বেশী হওয়া নিয়ে একটু চিন্তায় আরমান তার সাথে সমস্যাতো আছেই। চিন্তা যেন আরমানের পিছু ছাড়ছে না। কেয়েক মাস কেটে গেলো কিন্ত খুশির দেখা পাচ্ছেনা আরমণ মালহা। আরমানের দুশ্চিন্তা বেড়েই চলছে তাই সে একজন ডাক্তারের শরণাপন্ন হল। ডাক্তার তাকে দেখে সব কিছু শুনে কিছু টেস্ট দিলো। আরমান টেস্টগুলো দিয়ে বাড়ি ফিরলো, পরের দিন রিপোর্ট দিবে। তবে রিপোর্ট হাতে না পাওয়া পর্যন্ত এই বিষয়ে মালিহাকে জানাবে না বলে ঠিক করলো। আরমান বাড়ি ফিরতে না ফিরতে মালিহা আরমানকে এক গ্লাস পানি হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলতে শুরু করলো অনেক গুলো দিন ধরে তো দেখছি চলোনা এবার একজন ভালো ডাক্তার দেখিয়ে আসি মালিহার কথা শুনে আরমান-বিষম  খেলো। মনে হচ্ছে মালিহা যেন মন পড়তে পারে। আরমান নিজেকে সামলে নিয়ে বললো ডাক্তারের কাছে যেতেতো টাকার দরকার। আগামি সপ্তাহে নিয়ে যাই। মালিহা শান্ত ভাবে আরমানে কথা মেনে নিলো। মায়ের কথা মনে পরতেই আরমান মায়ের ঘরে চলে যায়। মায়ের ঘরে পা রাখতেই এক শান্তি অনুভব করে আরমান। ঘরের চারোদিকটায় একটু চোখ বুলিয়ে নিলো আরমান। আরমানের চোখ পড়লো মায়ের ব্যবহৃত তবজি খানার উপর একটা হাদিসের বইয়ের উপরে সুন্দর ভাবে রাখা যেমনটা মা রাখতেন। আরমান হাদিসের বইটি সহ তবজি খানা হাতে নিয়ে চুমু খেলো। বইটি তুলতেই বইয়ের ভিতরদিক থেকে একটা কাগজ মাটিতে পড়ে। আরমান  বইটি রেখে কাগজ খানা তুলে নেয় এতো মায়ের লেখা কোন চিঠি। আরমান চিঠি খানা পড়তে শুরু করে। এযেনো আরমানকেই লেখা।আরমান প্রচণ্ড ভাবছে তার মাঝে ঘামছে। ………………………… ………………………… ………………………… ………………………… ………………………… ………………………… চলবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন