রবিবার, জুন ৪

পিশাচ পুরুষ ১ম পর্ব

 

মেয়েটা যখন বলল এক মাস তাকে বন্ধি রেখে একটা দানব আকৃতি পিশাচ তার সাথে জোরপূর্বক শারীরিক অত্যাচার করেছে তখন কেউই ওকে পাত্তা দিল না, সবাই হাসলো। কিন্তু তার এক মাস পরেই যখন আবিষ্কৃত হলো মেয়েটার গর্ভে সন্তান এসেছে তখন সকলেই হতবাক হয়ে গেল। অনেকেই তাকে বলল গর্ভপাত করিয়ে ফেলতে। মেয়েটা বার বার কেঁদে কেঁদে শুধু বলল, বাচ্চাটার কোনো ক্ষতি হলে পিশাচটা এই গ্রামের সব মানুষদের খুন করে ফেলবে। গ্রামের সবাই একেবারেই বিস্মিত হয়ে গেল যখন মাস পর মেয়েটা গর্ভ থেকে একটা চার পায়া পশু প্রসব করলো। 

 

 

 

চারপায়া অদ্ভুত জন্তুটাকে দেখে আতঙ্কিত হয়ে গুঞ্জন ঝুরে দিল প্রসবঘরের সবাই। এমন অদ্ভুত দবদবে সাদা জন্তু তারা জীবনে কখনো দেখেনি। মেয়েটা প্রসব করার পরেই অচেতন হয়ে গিয়েছিল। আচমকা চোখ খুলে উঠে বসলো। জন্তুটাও এবার নড়ে উঠে বসলো। চোখ খুলে একবার তাকালো লোকজনের দিকে। নাক কুঁচকে গন্ধ খুঁজল কিছুর। এরপর এক লাফে মা মেয়েটার কোলে গিয়ে উঠল, আচল সরিয়ে স্তনে মুখ দিল। দাই মহিলাটি ভয় পেয়ে ঘরের বাইরে চলে গেল। তাকে অনুসরণ করে বাকিরাও বাইরে বের হয়ে গেল।

 

 

 মেয়েটা একটা জন্তু প্রসব করেছে শুনে এরমধ্যেই বাড়িতে প্রচুর ভিড় হচ্ছে। পুরো গ্রামে উত্তেজনা।

হঠাৎ মেয়েটা পাগলের মতো চেচাতে চেচাতে ঘরের বাইরে বেরিয়ে এলো। কোলে অদ্ভুত সেই সাদা জন্তু। চেঁচিয়ে বলতে লাগল, খবরদার! আমাদের সন্তানের যে ক্ষতি করতে আসবে তার পুরো বংশ নির্বংশ করে দেবে ওর বাবা। আমি এখন আর তোমাদের সাথে একসঙ্গে থাকতে পারবো না। আমি এখন থেকে জঙ্গলে থাকবো। কেউ আমায় খুঁজবে বা বিরক্ত করবে না। করলেই সর্বনাশ!

 

 

 

 

এই বলেই জন্তুটাকে কোলে নিয়ে গ্রামের পাশের এক ঘন জঙ্গলের দিকে ছুট লাগলো মেয়েটি। অনেকেই তার পিছু পিছু ছুটতে লাগলো। মেয়েটার মাথা খারাপ হয়ে গেল নাকি! হবেই বা না কেন, এমন জন্তু জন্ম দেওয়া কার পক্ষে সম্ভব! মেয়েটার গায়ে এত শক্তি হলো কী করে। একদম ঝড়ের বেগে ছুটতে লাগলো সেদিকে। কিছুক্ষণের মধ্যেই জঙ্গলের ভেতর অদৃশ্য হয়ে গেল মেয়েটা। সন্ধ্যা হয়ে গেছে। এই জঙ্গলটা নিয়ে অনেক আতংক আছে গ্রামবাসীর ভেতর। তাই তারা কেউই ভেতরে যাওয়ার সাহস পেল না। 

 

 

 

 

এরপর থেকে সেই গ্রামে মেয়েটাকে আর কেউ দেখতে পায়নি। জঙ্গলের ভেতরে কাঠ আনতে, পাখি ধরতে অনেকেই দল বেঁধে যেত। তাদের কেউও ওখানে কোনোদিন মেয়েটাকে দেখেনি। জঙ্গল যত পুব দিকে গেছে তত আর গভীর , ঘন হয়েছে। সেদিকে কেউই যায় না। তাই সেদিকের খবর কেউ রাখে না। মেয়েটার কোনো আপনজনও নেই যে তার খোঁজ করবে। এক সময় গ্রামের মানুষ গুলো মেয়েটাকে প্রায় ভুলেই গেল। 

 

 

 

 

এক বছর পর হঠাৎ এক অমাবস্যার রাতে জঙ্গল থেকে ভয়ানক একটা জন্তুর হুংকার বেরিয়ে এলো। শব্দটা এতই বিকট ছিল যে অর্ধেক গ্রামের লোক সেটা শুনতে পেয়েছিল। যে শব্দটা শুনলো তারই হৃদপিণ্ড লাফিয়ে উঠলো আতঙ্কে। কোনো এক ভয়ানক জন্তু রাগে যেন ফুঁসছে। এরপর থেকে জঙ্গলের পাশে গড়ে ওঠা বাড়িগুলোর মানুষ প্রায় রাতেই রক্তহীম করা সেই ভয়ানক হুংকার শুনতে পেত। যেটার উৎস সেই জঙ্গল। সন্ধ্যার পর জঙ্গলের আশেপাশে কেউ যেত না তাই। দিনে আতংক কিছুটা কম ছিল।

 

 

 

 

জঙ্গলের খুব কাছেই রইস আলীর বাড়ি। গভীর রাতে। স্ত্রী কন্যা নিয়ে শুয়ে ছিল সে। হঠাৎ গোয়াল ঘর থেকে পোষা গরু-ছাগলের ভয়ানক আর্তনাদের শব্দে ঘুম ভেঙে যায় তার। দ্রুত একটা দা হাতে ছুটে যায় সেখানে। গিয়ে দেখতে পায় একটা গাভী উঠানে ছটফট করছে মাটিতে লুটিয়ে, গলার পাশ থেকে বের হওয়া রক্তে ভেসে যাচ্ছে উঠান।

 

 

 

 

বাঘ বা শিয়াল! না, এমন সময় গোয়াল ঘর থেকে অদ্ভুত দর্শন বৃহৎ একটা চারপায়া সাদা জন্তু বেরিয়ে এলো, আকারে গাভীটির দ্বিগুন, জ্বলজ্বল করে জ্বলছে চোখ, নিঃশ্বাসের ফুসফুস আওয়াজ, চাঁদের আলোয় চারপাশ কাঁপিয়ে ভয়ানক এক হুংকার ছাড়লো ওটা ওর দিকে তাকিয়ে! ওটার মুখ চুইয়ে চুইয়ে পড়ছে রক্ত। হাত থেকে দা টা পরে গেল রইস আলীর। আতঙ্কিত হয়ে পেছাতে গিয়ে পায়ের সংঘর্ষে উঠানে পরে গেল সে।

 

 

 

 

অদ্ভুত ভয়ানক জন্তুটা লাফ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। রইস আলী বুঝল তার বাঁচার আশা শেষ। এই অঞ্চলে বাঘ আসে না, এমন মৃত্যু অনাকাঙ্ক্ষিত। এটা কী জন্তু! জন্তুটা লাফ দিল কিন্তু রইসের উদ্দেশ্যে নয়। গাভিটার ধর চেপে ধরেছে। প্রচণ্ড শক্তি দিয়ে উঁচু করে ফেলল ওটাকে। ওটাকে মুখে আটকে ঘুরে ছুট লাগলো জঙ্গলের দিকে। এরমধ্যেই গোয়াল ঘরে থাকা বাকি পশুগুলো গগনবিদারী চিৎকার জুড়ে দিল ভয়ে। আশেপাশের সব বাড়ির লোক ছুটে এলো এদিকে। 

 

 

 

উঠানে রক্ত দেখে সবাই ভড়কে গেল। রইস মিয়া দৃশ্যটা ব্যাখ্যা করলো সবাইকে। আতঙ্কে তার শরীর বার বার কেঁপে উঠছে জন্তুটার শরীরের বর্ণনা দিতে দিতে। গ্রামের সবাই বুঝতে পারলো ভয়ানক এক জন্তুর প্রবেশ ঘটেছে জঙ্গলে। প্রায় রাতে ওটার হুংকার শুনেই আতঙ্কে থাকতো সবাই, এখন আবার ওটা শিকারে বের হতে শুরু করেছে!

 

 

 

 

এরপর থেকে এমন বীভৎস ঘটনা প্রায়ই ঘটতে লাগলো। জঙ্গল থেকে ভেসে আসে ভয়ানক হুঙ্কার। মাঝেমধ্যে মাঝরাতে বাড়ির গোয়ালঘর থেকে বোবা প্রাণীর আর্তনাদ বেরিয়ে আসে। ভয়ে ভয়ে বাড়ির মালিক উকি দিয়ে ভয়ানক দর্শন সাদা হিংস্র জন্তুটাকে দেখতে পায়। উন্মাদের মতো কামড়ে ছিড়ে খাচ্ছে একটা পশুকে, বাকিগুলো ভয়ে চেঁচাচ্ছে।কোনো কিছু করে বাধা দেওয়ার কথা কল্পনাও করতে পারে না সে। কখনো বা কারো বাড়ি হতে একটা পশুকে হত্যা করে মুখে করে নিয়ে ছুট লাগায় জঙ্গলের দিকে।

 

 

 

ওটার আকৃতি দিনকে দিন যেন বেড়েই চলেছে। মানুষের কোনো ক্ষতি করেনি এখন পর্যন্ত। অবশ্য ওটা রোজ রাতে শিকারে বের হয় না, হঠাৎ হঠাৎ ১০-১৫ দিন পর পর এক রাতে ওটা হুংকার ছাড়তে ছাড়তে শিকারের কাছে আসে। গ্রামের মানুষের আতঙ্কের সীমা রইলো না, প্রতিকারের উপায়ও খুঁজে পেল না। দল বেঁধে ওটাকে হামলা করে না জানি চটিয়ে দেওয়া হয়, এরপর হয়তো মানুষের উপর হামলা চালাবে রাগে ওটা। অন্তত ওটাকে মারার ক্ষমতা যে তাদের নেই তা তারা বেশ বুঝতে পারে। ধীরে ধীরে গ্রামের মানুষ এই ভয়ানক বিভীষিকাময় জন্তুর এই কর্মকাণ্ডে অভ্যস্থ হয়ে পড়ে। 

 

 

 

একদিন ভোর ৫টা। গ্রামের ষাট উর্ধ বৃদ্ধা পরীমনি সকালে হাটতে হাটতে হাজির হলেন জঙ্গলের কাছে। আকাশ থেকে বিচ্ছুরিত আভা আশেপাশের পরিবেশ হালকা আলোকিত করে ফেলেছে। বৃদ্ধার উদ্দেশ্য জঙ্গলের কিনারায় একটা কামরাঙা গাছ , সকালে ওটার নীচে ফল পরে থাকতে পারে। সেখানে পৌঁছে দেখল গাছের নিচু একটা ডালে একটা সুদর্শন  যুবক বসে আছে। বৃদ্ধার চোখের কোনো সমস্যা না থাকায় বুঝতে পারলো ছেলেটার পরনে কোনো কাপড় নেই। এত সুন্দর পুরুষ! মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকে সে।

 

 

 

 এক লাফে যুবকটা বৃদ্ধার কাছে এসে দাড়ালো। তার থেকে চোখ ফেরাতে পারে না বৃদ্ধা। কী মায়াবী মুখ, ঝাকড়া চুল, কালো চোখ জোড়া কিসের এক নেশায় জ্বলছে। যুবককে এভাবে নগ্ন দেখে বৃদ্ধা কিছুটা কুন্ঠিত বোধ করলো। যুবক ধীরে ধীরে তার মুখোমুখি এসে দাড়ালো। আলতো করে তার চিবুক স্পর্শ করলো। বৃদ্ধার পুরো শরীর কেঁপে উঠলো উন্মাদনায়। হঠাৎ বৃদ্ধা খেয়াল করলো নিজের শরীরের কুঁচকে যাওয়া চামড়া গুলো সব সমান, কোমল আকৃতি ধারণ করছে, পাকা চুলগুলো কালো হয়ে যাচ্ছে, কোমরের যে ব্যথার কারণে গুঁজ হয়ে চলতো তা উধাও হয়ে গিয়েছে, শরীরে পূর্ণাঙ্গ যৌবন ফিরে আসছে। বিস্ময়ের ধাক্কা খেল সে। 

 

 

 

অবাক হয়ে সে নিজের দিকে তাকালো। পঁচিশ বছরের এক যুবতী নারী যেন সে। যুবক এবার উল্টো হয়ে ঘুরে জঙ্গলের দিকে হাটতে লাগলো। পুরো শরীরে ভয়ানক এক কাম উত্তেজনা অনুভব করছে পরী। ধীরে ধীরে আচ্ছন্নের মতো সেও অনুসরণ করতে লাগলো যুবকটিকে। প্রবেশ করলো জঙ্গলের ভেতর। জীবনে প্রথম এই জঙ্গলে ঢুকেছে সে। তবে তার বিস্মিত চোখ জোড়া এখনো আটকে আছে যুবকের শরীরের দিকে।

 

 

 

এত সুন্দর কোনো মানুষ হতে পারে! ওকি! যুবকের সারা শরীর ভেদ করে বেরিয়ে আসছে যেন সাদা লোম। কোমরের নিচ থেকে গজাচ্ছে লেজ, নখগুলো হয়ে উঠছে তীক্ষ্ণ সুচালো! দেখতে দেখতে একটা সাদা অদ্ভুত জন্তুতে রূপান্তরিত হলো ওটা। পরীর কাছে মনে হচ্ছে ওটার সৌন্দর্য তবুও একটু কমে যায়নি। নেশাগ্রস্ত যুবতীর ন্যায় সে অনুসরণ করেই চলতে থাকে। চলে যাচ্ছে জঙ্গলের গভীর থেকে গভীরে। 

 

 

 

সেদিনের পর থেকে গ্রামের কেউই বৃদ্ধা পরীমনিকে আর খুঁজে পেল না। জানতেও পারলো না সে কোথায় গেল, কী পরিণতি হয়েছিল তার!

গ্রামীন সাধারণ জীবনের মধ্যে একটা মেয়ের চারপায়া অদ্ভুত এক জন্তুকে জন্ম দেয়া, মেয়েটার জন্তু সহ জঙ্গলে উধাও হয়ে যাওয়া, এর এক বছর পর সেই জঙ্গল থেকে একটা ভয়ানক মাংসাশী জন্তুর আগমন, গ্রামে বেশ আতঙ্কের আলোড়ন সৃষ্টি করে ফেলেছে। প্রত্যেকেই দিন-রাত থাকে এখন আতঙ্কের মাঝে। এরমধ্যেই হঠাৎ করে একদিন পরী নামের এক বৃদ্ধাও নিরুদ্দেশ হয়ে গেল। অনেক খুঁজেও তাকে পাওয়া গেল না আর। বৃদ্ধার নিরুদ্দেশের পেছনে যে সেই সাদা জন্তুটার সম্পর্ক থাকতে পারে তা কেউ ধারণা করতে পারে নি। তাহলে তাদের আতংক সীমা ছাড়িয়ে যেত এবং এটারই প্রয়োজন ছিল। 

 

 

 

 

 

এরমধ্যেই গ্রামে একরাতে ঘটে গেল ব্যতিক্রম এক ঘটনা। গ্রামের মাতবর লিয়াকত ব্যাপারীর এক নাতি শহরে থাকে। সে গ্রামে বেড়াতে আসার সময় তার দাদার জন্য একটা বিদেশি বড় আকারের কুকুর উপহার নিয়ে এসেছে। জঙ্গলের পাশে হওয়ায় শুধু এই গ্রামে নয় আশেপাশের দশ গ্রামের ভেতর কোনো কুকুর-বিড়াল ছিল না। লিয়াকত আলী খুব আগ্রহ নিয়েই কুকুরটাকে পোষ মানাতে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন।

 

 

 

 

 

অদ্ভুত এক জন্তুর এই জঙ্গলে আগমন, গ্রামের পোষা প্রাণী শিকারের কথা লিয়াকত ব্যাপারীর কাছে তার নাতি শুনেছিল। কিন্তু যে কয়দিন সে গ্রামে ছিল ওটার কোনো আওয়াজ পাওয়া যায়নি। তাছাড়া জঙ্গলের পাশের অঞ্চলে বন্য প্রাণীর আক্রমণের ঘটনা অস্বাভাবিক কিছু মনে হয়নি তার কাছে। ছুটি শেষ হলে সে আবার শহরে চলে যায়। 

 

 

 

এরপর একদিন মধ্যরাতে গ্রামের অর্ধেক মানুষ জঙ্গল থেকে ভেসে আসা সেই সাদা জন্তুটির হুঙ্কারের আওয়াজ পেল। সবাই আতংক নিয়ে যার যার ঘরে অপেক্ষা করতে লাগলো। না জানি আজ কার বাড়ির গোয়ালে হামলা চালাবে

লিয়াকত ব্যাপারীর বাড়ি গ্রামের মাঝামাঝি হওয়ায় এখন পর্যন্ত জন্তুটার হামলার শিকার হয়নি তার গোয়ালের পশুগুলো। লিয়াকত নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছিল, তার পাশে তার স্ত্রী। তাদের বাড়ির অদূরেই আরেকটা বাড়ি আছে যেটায় তার মেয়ে, মেয়ের জামাই আর দুই নাতি-নাতনি থাকে।

 

 

 

 

 হঠাৎই খুব কাছে বিকট এক হুঙ্কারের আওয়াজে ধড়ফড় করে ঘুম থেকে জেগে উঠে বাড়ির সকলে। পরমুহূর্তেই শুনতে পায় গোয়ালের গরুগুলোর ভয়ানক আর্তনাদের শব্দ। কারো বুঝতে বাকি থাকে না , কী ঘটছে। জন্তুটা আজ এখানে হামলা চালাচ্ছে।

 

 

 

লিয়াকত ব্যাপারীর মেয়ের জামাই বকুল ভয়ে ভয়ে জানলার খিলি সরিয়ে বাইরে তাকাল। সোলার লাইটে আলোকিত উঠানের একপাশে গোয়াল ঘরটা জানলা বরাবর হওয়াতে ওটার দিকেই চোখ আটকে গেল তার। শরীর শিরশির করে উঠলো হঠাৎ। ঐতো একটা বড় গাভীর ধর কামড়ে টেনে-হিঁচড়ে গোয়াল থেকে বের করে নিয়ে যাচ্ছে ভয়ানক সেই জন্তুটা। মুখ দিয়ে বের হচ্ছে গোঙানি। চুইয়ে ঝরছে রক্ত। গাভিটাও এখনো মরেনি, ওটার গলা দিয়েও গড়গড় শব্দ বের হচ্ছে।………………………….

 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন