Breaking

বুধবার, জুন ২৮

পরকীয়া পর্ব- চতুর্দশ

 


জীবনে টানা পোড়ন চলতেই থাকে। অতিতকে ভেবে বর্তমানকে নষ্ট করার কোন মানেই হয় না। আজ আরমানের দ্বিতীয় দিন ডাক্তারের কাছে এসেছে রিপোর্ট নিয়ে। আজ মালিহা আসেনি সাথে। ডাক্তার খুব মনোযোগ দিয়ে রিপোর্ট গুলো দেখছে। আরমানে আজ কেমন একটা অস্বস্তি হচ্ছে। টেনশন হচ্ছে রিপোর্ট দেখে কি বলে এই ভাবনায় কপালে বিন্দু্ বিন্দু্ ঘাম জমেছে। হঠাৎ করে ডাক্তার বললো হুম রিপোর্ট গুলো যা দেখছি তাতে  আপনার ওষুধে তেমন কাজ হবে না। ছোট একটা অপারেশন লাগবে। ওষুধ গুলো সাময়িক চলুক আপনি ১৫ দিন পর এসে আমার সাথে দেখা করবেন। তখন বলবো অপারেশন কবে করব। আরমান : স্যার অপারেশন করলে সব ঠিক হয়ে যাবে? ডাক্তার : অবশ্যই। আরমান : ওকে আসি তাহলে। হাজারো প্রশ্ন মাথায় নিয়ে আরমান বাসার উদ্দেশ্যে বের হলো। বাসায় যাওয়ার পরে মালিহাকে কি বলবে। সবটা জেনে মালিহা কি বলবে আরো কতো প্রশ্ন চিন্তা। অন্য দিকে মালিহা বাসায় বসে টিভি দেখছে  মালিহার ফোনটা বেজে উঠলো মালিহা ফোনটা হাতে নিতেই দেখলো মুমু ফোন দিয়েছে। হ্যালো হ্যাঁ মুমু বল কেমন আছিস? মালিহা আপু আমি ভালো আছি তুমি কেমন আছো? এইতো ভালো আছি। তা তুমি আসবে কখন? কোথায় আসবো? বাড়িতে আসবে? আমি তো দিল্লিতে আছি। কবে ফিরবো এখনও কনফার্ম না। জানি তো তুমি দিল্লি গেছ আরমান ভাইয়ের সাথে তোমার শাশুড়ি মা বলেছে। আমরা তোমার শশুড় বাড়িতে গিয়েছিলাম দাওয়া দিতে তখন বলেছে। কিসের দাওয়া বাড়িতে কি কোন অনুষ্ঠান আছে?? তুমি জানোনা মাহমুদ ভাইয়ের বিয়ে তিন দিন পড়ে। এনগেজমেন্ট  হয়েগিয়েছে। এখন শুধু ডকুমেন্ট করবে আর ভাবিকে বাড়িতে আনার পালা। মাহমুদের বিয়ে একথাটা শুনে মালিহার বুকের মাঝে এক অজানা কষ্ট জমা হলো। এই মাহমুদের থেকেই কি সুখ পেয়েছে মালিহা আর এখন অন্যকাউকে সুখী করতে ব্যস্ত হয়ে পড়বে মাহমুদ। হয়তো এই বিয়ের করনেই মাহমুদ মালিহার ফোন ধরে না। সে হয়তো তার স্ত্রী কে ঠকাতে চায়না।  হ্যালো মালিহা আপু তুমি কি ভিনগ্রহে চলে গিয়েছ কথা বলছো না যে।  না একটু ব্যস্ত আছি আমি পড়ে ফোন দেবো তোকে এই বলে ফোনটা কেটে দিলো মালিহা। দরজায় বেল বাজলো। ফোনটা রেখে মালিহা দরজা খুলতেই আরমানকে দেখতে পায়। আরমান। আরমান ভিতরে আসে তারা কাল ফিরে যাবে বাড়িতে। মালিহাকে সব কিছু ঘুছিয়ে নিতে বলে অন্য রুমে চলে যায় আরমান। মালিহা মাথা নাড়িয়ে হ্যা সুচক সম্মতি জানায়। চিত্রা মাসি আরমানে মায়ে দূর সম্পর্কের বোন তার বাসায় উঠেছিলো আরমান আর মালিহা। মাসি বার বার বললো আরো দুটো দিন থাকতে কিন্তু আরমান স্কুলের কাজ দেখিয়ে বললো আবার আসবে ১৫ দিন বাদ তখন থাকবে। পর দিন খুব ভোরে আরমান আর মালিহা বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়।সকাল গড়িয়ে  দুপুরটায় আরমান মালিহা বাড়ি এসে পৌঁছায়। আরমানের মা শেফালি বেগম বলে এতোটা পথ গাড়ি করে আসছো তোমরা যাও  গোসল সেরে আসো আমি খাবার দেই। ফ্রেশ হয়ে এসে খাওয়া দাওয়া শেষ করে রুমে গিয়ে বিশ্রাম নেয় আরমান। আর মালিহা  মাহমুদের কথাই ভাবছে অনেক দিন হহয়েগিয়েছে  মাহমুদের থেকে সুখ পেয়েছে মালিহা। এরপর এতো গুলো দিনে কোন পুরুষের সান্নিধ্য পায়নি। আরমান তো তাকে স্পর্শ করে দেখেনি। চারোদিকে কিচির মিচির শব্দ করে নীড়ে ফিরছে পাখিরা সন্ধ্যা হয়ে এসেছে তাই। শেফালি বেগম মালিহা আরমান কে ডেকে মালিহাদের বাড়ি যাওয়ার কথা বললো। আরমান যেতে চাচ্ছিলো না। শেফালি বললো মালিহার বাবা নিজে এসে দাওয়া দিয়ে গিয়েছে না  গেলে খারাপ দেখায়। আরমান বললো তাহলে মালিহা কাল সকালে চলে যাক আরমান  বিয়ের দিন সকালে গিয়ে অনুষ্ঠান মিটিয়ে মালিহাকে নিয়ে ফিরে আসবে। শেফালি বেগম সব চিন্তা করে অনুমিত দিয়ে দিলো। মালিহা জোড় পূর্বক তার শাশুড়ি মাকে সাথে নিয়ে বাবার বাড়ি চলে গিয়েছে। বাড়িতে ডুকতেই মাহমুদের সাথে মালিহার দেখা। একে অপরের চোখ যেন কিছু বলতে চায়। সারাদিন গড়িয়ে আমি বিয়ে করতে চাইনি চাচা, বাবা,মা সবাই মিলে blackmail করে আমাকে বিয়ে করতে বাধ্য হলো। মালিহা বলে মাহমুদ দা তোমার সাথে এটাই আমার শেষ দেখা এর পরে তোমার বউ আসলে আমাদের আর দেখা হবে না তাইনা। মাহমুদ কি বলবে ভেবে পায় না। মাহমুদ দা আজ শেষ বারের মতো আমাকে একবার খুশী করে দিবে কতো দিন হলো তোমার ছোয়া পাইনি। মাহমুদ কি বলবে ভেবে পাচ্ছে না। কিন্তু মাহমুদের মন চাইছে মালিহাকে সুখের সাগরে ভাসিয়ে দিতে। হঠাৎ মালিহা মাহমুদের ঠোঁটে ঠোট বসিয়ে চুমু দিয়ে দেয় মাহমুদ মালিহাকে জড়িয়ে ধরে বুঝতে পারে মালিহা কষ্টে কাপছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন