আরমানে নতুন পদক্ষেপ
মালিহার দিন খুব একটা ভালো কাটছিলো না দিন দিন তার সঙ্গমের চাহিদা বেড়েই চলছিলো।আরমান নিজেকে গুটিয়ে রেখেছে সে নিজের অক্ষমতার কারনে
মালিহার চোখে চোখ রেখেও তাকায় না। হাপিয়ে উঠেছে লজ্জায় মালিহাকে ঘিরে হাজারো ভাবনায়। অবশেষে আরমান সিদ্ধান্ত নেয় সে নয়া দিল্লী গিয়ে ডাক্তার দেখাবে। আরমান স্কুল থেকে ছুটি নিয়ে মালিহাকে নিয়ে দিল্লীর উদ্দেশ্যে রওনা হয়। আরমানের মায়ের এক আত্মীয়র বাসায় উঠেছে। ডাক্তারের এপয়েন্টমেন্ট নেয়া হয়েছে
খুব বড় ডাক্তার।ডাক্তার শ্রিয়ানস জৈন। যৌন বিশেষজ্ঞ, নয়া দিল্লি, ভারত বার্লিংটন ক্লিনিকে বসেন। সন্ধ্যা ৭ টায় ডক্তার দেখবেন। মালিহাকে নিয়ে আরমান একটু আগেই বেরিয়েছে একটু এদিক সেদিক ঘুরাঘুরি করে ঠিক সময়ে ডাক্তারের কাছে এসে পৌছালো। মালিহাকে ওয়েটিংরুমে বসিয়ে আরমান ডাক্তারের কেবিনে ডুকলো।কেবিনে ডুকতেই ডাক্তার তাকে বসতে বললো আরমানকে উদ্দেশ্য করে বললো আপনার সমস্যা খুলে বলুন। আরমান ইতস্ত বোধ করছে তখন সামনে বসে থাকা ডাক্তার তাকে বললো আপনি আপনার সমস্যা যদি আমাকে না বলতে পারেন তবে আমি কি করে আপনার চিকিৎসা করব মি.আরমান . কিছুখন ভেবে মালিহার মুখটা মনে করে আরমান বলতে শুরু করলো বেশ কিছুদিন হল স্ত্রীর
সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে বিশেষ উৎসাহবোধ করি না।
স্ত্রী কাছে আসতে চাইলেও বিরক্ত লাগে, ইচ্ছে করে না। যৌনতার প্রতি আমার বিষন রকম অনাগ্রহ। আর এটার প্রভাবে আমার স্ত্রী আমার থেকে দূরে দূরে থাকে। তার মেজাজ খুব একটা ভালো থাকেনা। অবশেষে আপনার কাছে কাউন্সেলেরে জন্য দ্বারস্থ হলাম .. ডাক্তার শ্রিয়ানস জৈন : আপনার কি
শারীরিক কোনও অসুস্থতা আছে?
যার জন্য নিয়মিত আপনাকে ওষুধ খেতে হয়, তা হলে তার জের আপনার লিবিডোর উপরেও পড়তে পারে। আরমান : No
Doctor, I don't have any medicine. ডাক্তার শ্রিয়ানস জৈন : মি.আরমান আপনি কখনও নিয়মিত ডিপ্রেশনের ওষুধ খেয়েছেন , আরমান : ডাক্তার আমার প্রথম স্ত্রী যখন আমাকে রেখে চলে গিয়েছে তখন আমি প্রায় ১ বছর ডিপ্রেশনে ছিলাম এবং ওষুধ নিয়েছি। কিন্তু আমার প্রথম স্ত্রী থাকা অবস্থায় ও আমার এই সমস্যা ছিলো তবে এতোটা খারাপ অবস্থা ছিলো না। ডাক্তার শ্রিয়ানস জৈন : আপনি ডিপ্রেশনের ওষুধ কন্টিনিউ নেয়াতে আপনার মধ্যে এই সমস্যাটা এখন বেশি দেখা যা্ছে । দীর্ঘদিন ওরাল কনট্রাসেপটিভ খেলেও একই সমস্যা হয়। ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে লিবিডো কমে যাচ্ছে। আমি আপনাকে কিছু টেস্ট ও মেডিসিন দিচ্ছি আপনি নিয়মিত করলে আশা করি সবটা ঠিক হয়ে যাবে। আর কাল এসে রিপোর্ট গুলে দেখিয়ে যাবেন। আরমান : ওকে ডক্টর
এবার তাহলে আসি। ডাক্তার শ্রিয়ানস জৈন : মি. আরমান আর একটি কথা সবসময় মাথায় রাখবেন প্রতিটি সম্পর্কেই কখনও না কখনও ওঠাপড়া আসতে পারে, তা কাটিয়ে বেরিয়ে আসতে পারলে মজবুত হয় সম্পর্কের বাঁধনটাই। আপনার আর আপনার পার্টনারের মধ্যে যদি সেই বিশ্বাস আর নির্ভরতা থাকে, তা হলে সমস্যা কাটিয়ে ওঠা বড়ো ব্যাপার নয়। কিন্তু যদি আপনাদের মধ্যে যোগাযোগের অভাব থাকে, মতের অমিল থাকে, আস্থার অভাব থাকে, তা হলে সম্পর্কটা অটুট থাকে। দরকারে রিলেশনশিপ কাউন্সেলরের পরামর্শ নিন। আশা করি বুঝতে পেরেছেন। আরমান মাথা নাড়িয়ে হ্যা সূচক সম্মতি জানালো। কেবিন থেকে বের হতে হতে ডাক্তারের বলা শেষ কথা গুলো আরমানের কানে বাছছিল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন