নির্ধারিত দিনই নীলাভ বেরিয়ে যায় সেমিনার এর উদ্দেশ্য।এতদিন কলেজ এ সব ঠিক ছিল।নূপুর আর স্বর্গ এর যতবার দেখা হয়েছে পরা বাদে তার বাইরে কোন কথা হয়নি।দুজনের জীবন ও দিব্যি চলছে।
নীলাভ যাওয়ার 10 দিন পর আমেরিকার থেকে নিলাভর এক ডাক্তার বন্ধু ফোন করে সেও ওই সেমিনার এ গেছিল।গত দুদিন ধরে নূপুর নীলাভ কে ফোন পাচ্ছিলো না তাই ও বেশ চিন্তায় ছিল।হঠাৎ এই ফোনটা আসায় ও ভয় ভয় ফোনটা রিসিভ করে কিন্তু তারপর যে খবর তা পায় তাতে ওর পায়ের তলার মাটি সরে যায়। বন্ধু:দেখো নূপুর আমি জানিনা কীভাবে বলব বুঝতে পারছি না আসলে আমিও হসপিটালে ভর্তি।2দিন আগে সেমিনার এর 4 নম্বর দিনে ওখানে নাসকতা হামলা হয় অনেকের গুলি লাগে কেউ কেউ মারা গেছে।অনেকের অবস্থা খারাপ আমারো হয় ছিল আমি এখন অনেকটাই সুস্থ।তবে একটা কথা বলা বাকি আসলে নূপুর মানে নি...নীলাভ র গুলি লেগেছে ও স.স...স্পট ডেড।ওর বডি আগামী 3 দিনের মধ্যে পৌছে যাবে। বলে ডুকরে কেঁদে ওঠে।
নূপুর অজ্ঞান হয়ে যায়।
ওর সাথে একজন মেইড থাকত যে ওকে কাজে হেল্প করত সে এসে ওকে ওঠায় উঠিয়ে চোখ মুখে জল দিয়ে জ্ঞান ফেরায়।
তারপর নূপুর ওর শশুর শাশুড়ি কে ফোন করে সব জানায়।ওর শশুর শাশুড়ি পরের দিন চলে আসে।তার পরের দিনই নীলাভ র কফিন বন্দির বডি বাড়িতে আসে।সেটা দেখে ওর মা বাবা,নূপুর পাগলের মতো করতে থাকে।নিলাভর সব পারোলৌকিক ক্রিয়া সম্পন্ন হলে নূপুর খেয়াল করে ওর শশুর শাশুড়ির রূপ ধীরে ধীরে বদলে যাচ্ছে।
নিলাভর মা:তুমি আর কলেজ যাবে না।আমাদের ছেলেটাকে তো মেরে ফেললে কি জানি কি দেখে নীলাভ ওর বাবা:হা ঠিক বলেছ।ছেলের পছন্দ ছিল বলে তোমায় বৌ করে এনেছিলাম কিন্তু এখন যখন ছেলেতাই রইলো না আর কি হবে।তোমাকে তোমার কাকার কাছে দিয়ে আসব। কথা মতো পরে র দিন ওকে ওর শশুর কাকার বাড়ি নিয়ে যায়।।কিন্তু ওর কাকারা ওর দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করে।উপরন্তু অনেক কোথা শোনায় যে ও নাকি অপয়া অলক্ষি মা বাবা কে মেরে শান্তি হয়নি নিজের স্বামী কেও আরো কত কি।
এদিকে রিতজারা ওকে ফোন না পেয়ে বেশ চিন্তিত ও অনেক দিন কলেজ এও আসেনি।
এদিকে এক্সাম এগিয়ে আসছে।আবার আরেকজন ক্লাসে এসে নূপুর কে খুঁজে না পেয়ে শুধু ক্লাস তা কোনওরকমে শেষ করে চলে যায়।অনেক দিন পর রিতজা নূপুর কে ফোন করে পায় তারপর সব শোনে যে ওর জীবন কীভাবে ওলোট পালট হয় গেছে সব ও স্টেশনে রাত কাটায়।
সব শুনে রিতজা বলে যে নূপুর যেন ওর বাড়ি চলে যায়।ওখানে রিতজা আর ওর মা থাকে ওর বাবা মারা গেছে।তাই আজ থেকে ও থাকতে পারে।
নুপুরকে পেয়ে রিতজার মা ও খুব খুশি যেন উনি আরেকটা মেয়ে পেয়েছে।নুপুরকে ওরা খুব যত্নে রাখে।কিন্তু নূপুর যেন ওর প্রাণ হারিয়ে ফেলেছে।কেমন যেন শান্ত হয়ে গেছে।খাওয়ার দরকার খায় রাতে ঘুমের মধ্যে কেঁদে ওঠে।রিতজা বলে তুই কাল থেকে কলেজ এ যাবি মা তোকে পড়াবে।ওখানে গেলে সবার সাথে দেখা হলে দেখবি ভালো লাগবে। পরের দিন থেকে নূপুর রিতজার সাথে কলেজে যাওয়া শুরু করে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন