অন্যদিকে মালিহার শাশুড়ি শেফালি বেগম মালিহার সাথে তার রুমেই শুয়েছিলেন। হঠাৎ শেষ রাতে তার ঘুম ভেঙে গেলে সে মালিহাকে তার পাশে দখতে না
পেয়ে উঠে পড়ে। এবং খুঁজতে থাকে এতো রাতে কোথায় গেলো মেয়েটা। রুমে খুঁজে না পেয়ে রুমের দরজা খুলে বের হয়ে আসতেই
তার চোখ আটকে যায় একটা জায়গায় এ কি দেখছে। শেফালী বেগম যেন তার নিজের চোখ কেই বিশ্বাস করতে পারছে না।মালিহা কে আজ থেকে প্রায় দুই বছর আগে ছেলের বউ করে বাড়িতে নিয়ে গিয়েছে। কিন্তু কখনোই মালিহার মধ্যে
খারাপ কিছু দেখেনি এবং চোখে পড়ে নি।কিন্তু আজ সে একি দেখলো সত্যিই নাকি স্বপ্ন দেখছে
সে মালিহা তার চাচাতো ভাইকে এতো রাতে জড়িয়ে ধরে চুমু খাচ্ছে । শেফালি বেগম আরো কিছুটা নিশ্চিত হতে একটু আড়াল হয়ে ওদের কর্ম কান্ড দেখতে লাগলো। এই দিকে মাহমুদ জড়িয়ে ধরায় শত আবেগে মালিহার চোখ থেকে অশ্রুপাত হচ্ছে।মাহমুদ এবার মালিহাকে লম্বা একটা লিপ কিস করে বলে তুমি কেঁদোনা।আমি ছোটবেলা থেকে তোমাকে ভালোবেসেছি। হয়তো পুরোপুরি আমি পাইনি তাও আমি আমার জীবনে অন্য কাউকে তোমার জায়গাটা দিতে পারব না। এখন তুমি রুমে যাও অনেক সময় হয়েছে এসেছো। শেফালি বেগম সব লুকিয় লুকিয়ে সবটা দেখলো এবং নিজেকে শান্ত রাখলো। বাড়ি ভর্তি এত মানুষ এর মধ্যে এ বিষয় নিয়ে কথা বললে নিজেদেরই মান সম্মান যাবে। কারন মালিহা এখনো তার বাড়ির বউ।
মালিহাকে রুমের দিকে আসতে দেখে সে তাড়াতাড়ি রুমি গিয়ে শুয়ে পড়লো। মালিহা মাহমুদের থেকে বিদায় নিয়ে রুমে এসে দেখলো শাশুড়ি ঘুমিয়ে আছে। চুপটি করে শাশুড়ির পাশে শুয়ে পড়লো। অন্য দিকে শাশুড়ি মা তো সজাগ ঘুমিয়ে থাকার নাটক করছে। সকাল হতে না হতেই পুরো বাড়ি জুড়ে হৈচৈ পড়ে গেছে। হৈচৈ শুনে মালিহা ও তার শাশুড়ির ঘুম ভাঙ্গে এবং হৈচৈ এর কারন জানতে রুম থেকে বের হয়। এতোক্ষনে বিষয়টা ক্লিয়ার হলো মাহমুদ বাড়ি থেকে পালিয়েছে একটা চিঠি রেখে গিয়েছে বাড়ির সকলের উদ্দেশ্যে। প্রিয় মা, আমি জানি আমি আজ যে কাজ টি করেছি তার জন্য বাড়ির সবার সম্মান ও মন দুটোতেই আঘাত এসেছে। কিন্তু আমি নিরুপায় আমি এ বিয়ে করতে পারবো না আমাকে ক্ষমা করে দিও। আমি আগেও তোমাদের বলেছি আমি বিয়ে করতে চাই না। যাকে আমি মন থেকে মেনে নিতে পারব না। তার সাথে জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত কাটানো আমার পক্ষে সম্ভব নয়। তোমরা জোড় করেছো বলে আজ আমি এভাবে চলে যেতে বাদ্য হয়েছি।যদি সম্ভাব হয় আমাকে ক্ষমা করে দিও।
ইতি তোমাদের অযোগ্য সন্তান মাহমুদ। মালিহার মন যেন কথা গুলো শুনে খুশীতে নেচে উঠলো। কিন্তু বাড়ির পরিবেশটা থমথমে হয়ে আছে। বাড়ির সবচেয়ে
ভদ্র কর্তব্য পরায়ণ
ছেলেটা এমন একটা কাজ করবে কেউ কল্পনায় ও ভাবতে পারেনি। অন্য দিকে শেফালী বেগম তার ছেলের অপেক্ষায় আছে।
রাতের দেখা বিষয়গুলো নিয়ে ছেলের সাথে কথা বলবে বলে। ………………………………………………………………………………চলবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন