বুধবার, জুন ২৮

পরকীয়া পর্ব - সপ্তদশ।

 


আরমান গিয়ে মালিহা শেফালি বেগম কে নিয়ে বাড়ি ফিয়ে আসে।রাতের দেখা ঘটনা বার বার শেফালি বেগমের মাথার টনক নাড়ছিলো তাই শেফালি বেগম ছেলের সাথে একা একা কথা বলার জন্য উশখুশ করছিলেন।কিন্তু সুযোগ খুজে পাচ্ছিলেন না। দুপুরে খাওয়া দাওয়া শেষ করে মালিহা ভাত ঘুম দিতে শেফালি বেগম আরমানকে ডেকে নিয়ে যায় তার রুমে। আরমান তার মাকে জিজ্ঞাসা করে কি হয়েছে মা? আপনাকে এমন চিন্তিত কেন লাগছেআরমানকে পাশে বসিয়ে তার হাত টি ধরে শেফালি বেগম বলে বাবা আরমান তুই জানিস ছেলেটা কেন বিয়ে না করে পালিয়ে গেলো। 🌼তুমিও না মা এই সব বিষয় নিয়ে পড়ে আছ।মাহমুদ হয়তো বিয়ে করতে চায় না তার কোন সমস্যা আছে হয়তো তাই। এই বলে আরমান ভাবতে থাকে মাহমুদের কি আমার মতো এমন সমস্যা আছে যা কেউ কে বলতে পারছিলো না আর সমস্যার কারনে বিয়েও করতে চাইছে না। তাই হয়তো পালিয়ে গিয়েছে। আমার সেই দিন মালিহাকে বিয়ে করা উচিত হয় নি মাহমুদের মতো পালিয়ে গেলেই ভালো হতো। আরমানের ভাবনায় বিচ্ছেদ ঘটিয়ে শেফালি বেগম বললো বাবা তুই বৌমার সাথে ভালো আছিস? 🌼এটা কেমন কথা বলছো মা ভালো কেন থাকব না? মালিহা ভালো মেয়ে সবার কতো খেয়াল রাখে।এই বলে আরমান  আবারও ভাবনার জগতে পা রাখে এবং ভাবে হঠাৎ এমন প্রশ্ন কেন করলো মা। কোন  কথা কি মা বুঝতে পেরেছে নাকি জেনে গিয়েছে। অবশেষে কতো শতো প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে আরমানের মাথায়। শেফালি বেগম  আরমানের ডান হাতটি তার মাথায় রেখে বলে বাবা আমার কাসম তুই বল তোর আর বউ মায়ের মাঝে সব ঠিক আছে? এবার আরমান ভাবলো তার মা হয়তো সব  জানে তাই সে তার সব কথা একে একে বলতে শুরু করলো তার মা শুনে চোখের পানি ধরে রাখতে পারলো না। অনেক চিন্তা ভাবনা করে শেফালি বেগম মালিহা মাহমুদের সম্পর্কের কথা আর ছেলেকে বললেন না। আমার ছেলে বউমাকে আজও স্পর্শ করেনি মেয়েটা কি করবে সবকিছু ভেবে শেফালি বেগম আরমানের মাথায় হাত বুলি বলে বাবা তোর সব ভালা মুছিবত দূর করে দিক আল্লাহ্। বউ মায়ের সাথে সুখে শান্তিতে থাক এই দোয়া করি। অনেকদিন ধরে আরমান ডাক্তারের দেয়া ওষুধ খাচ্ছে অনেকটা পরিবর্তন লক্ষ্য করছে নিজের মধ্যে। ধীরে ধীরে সব কিছু স্বাভাবিক হচ্ছে। আরমান মালিহাকে সেই সম্পূর্ণ ভালোবাসা দিতে চায় যা পাওয়ার জন্য মালিহা এতোদিন ছটফট করেছে। কিন্তু আরমানের কেমন একটা লাগছে বিয়ের দুবছর হতে একমাস বাকি কিন্তু একদিন চেষ্টা ছাড়া কোন কিছুই হয়নি। নার্ভাসনেস কাজ করছে। সকল জড়তা কাটিয়ে এক গ্লাস দুধ হাতে আরমান তার বেডরুমে ডুকলো। মালিহা  আরমানের আশার শব্দে বিছানা ছেড়ে উঠে দাড়ালো। একটা মেরুন রঙের শাড়ি পড়েছে মালিহা দুধে আলতা গায়ের রঙের উপর মেরুন রঙটা বেশ মানিয়েছে। সকল নিরবতা ভেঙে আরমান মালিহার হাত ধরে কাছে টেনে নিয়ে বিছানার পাশে বসলো পাশে মালিহাকে বসিয়ে দুধের গ্লাসটা এগিয়ে দিয়ে বললো সারাদিন কতো কাজ করো নেও এটা খেয়ে নেও। মালিহা একটু হতভম্ব হলো এর পরে গ্লাসটা নিয়ে অর্ধেকটা দুধ খেয়ে বাকিটা আরমানের দিকে এগিয়ে দিয়ে বললো এটা তুমি খেয়ে নেও।আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি এই বলে যেতে নিলে আরমান মালিহার হাতটি ধরে বলে একটু দাড়াও। তোমার জন্য একটা জিনিস আছে এই বলে নীল রেপিং পেপারে মোড়ানো একটা বক্স এগিয়ে দিলো মালিহার দিকে আর বললো এটা পড়ে এসো। মালিহা গিফট বক্সটি নিয়ে ওয়াশ রুমে চলে গেলো কিছুক্ষন পড় মালিহা ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে আসতেই আরমান হা হয়ে তাকিয়ে আছে। মেরুন কালারের সর্ট নাইটিতে অসাধারন লাগছে মালিহাকে। ……………………………………………………………………………………………চলবে

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন