Breaking

বুধবার, জুন ২৮

পরকীয়া পর্ব- ত্রয়োদশ

 


ডা: দেখানো শেষে আরমান মালিহা বাসায় ফিরছিলো। মালিহা চুপচাপ টেক্সিতে বসে জানালা দিয়ে তাকিয়ে রাতের দিল্লি শহর দেখছে। রাতের শহর মনে হচ্ছে না চারোদিকে লাল,নীল,সবুজ বিভিন্ন রঙের আলোয় সেজে উঠেছে রাতের শহর অন্ধকার কে মিলিয়ে দিয়ে। মালিহার জীবন টা এভাবে বিভিন্ন রঙের আলোয় আলোকিত হতে পারতো যদি সে দিন বাবার কথায় আরমানকে বিয়ে না করে  বিয়ের আসর থেকে যদি পালিয়ে যেত রায়হানের হাত ধরে।   তবে আজ মালিহার জীবনটা এরকম বিষাদময় হতো না। আজ তার সাজানো সুন্দর জীবন হতো মাহমুদের সাথে। মাহমুদ তাকে ছোট থেকেই ভালোবাসতো কখনও বলতে পারেনি। তবে মালিহার বিয়েতে আসেনি কষ্ট পেয়ে।তার বন্ধু রায়হানকে পাঠিয়ে ছিলো একটা চিরকুট নিয়ে। মালিহা চিরকুটি পড়ে মজা ভেবে ছিঁড়ে ফেলেছিল। রায়হান অনেক বোঝানোর চেষ্টা করেছিলো কিন্তু মালিহা বুঝতে চায়নি।হয়তো তাই আজ আমার এই অবস্থা। ভাবতে ভাবতে জানালা দিয়ে উদাসীন হয়ে তাকিয়ে থাকা মালিহার চোখের কোনে অশ্রু ফোটা জমাহলো।  মালিহার পাশে বসে আরমান তার জীবনের ফেলে আসা অতিতের কথা ভাবছে। আজ আরমান এতো ভদ্র,শান্ত মানুষ যাকে তার গ্রামের সবাই সম্মান করে শ্রদ্ধা করে কোন এক সময় সে এরকম ছিলো না। আরমান উত্তর প্রদেশের লখনউ য়ে কানপুরে জন্মগ্রহণ করেছিলো ছোট বেলা তার ওখানেই কাটে ১১ বছর বয়সে সে তার মামার বাড়ি উন্নাও চলে আসে পড়াশুনার জন্য।মামার বাড়িতে তার বড় বড় মামাতো বোন ছিলো তাকে অনেক ভালোবাসতো। যখন ক্লাস সেভেনে পড়ে তখন সে প্রথম বার ইন্টিমেট হয় তার মামার বড় মেয়ের সাথে। সেই দিন তার ভালোই লেগেছিলো।এর পর যতোবার সুযোগ হতো আর মামাতো বোন কাছে ডাকতো আরমান খুশি মনে চলে যেতো ইন্টিমেট হতে। আরমান যকন ক্লাস নাইনে পড়ে সে সময় তার মামাতো বোনের বিয়ে হয়ে যায়। আরমান এতো দিনে অনেক মেয়ের সাথে জড়িয়ে পড়েছে শারীরিক ভাবে। দেখতে দেখতে আরমানের ক্লাস Ten শেষ হয় আরমানকে পাঠিয়ে দেয়া হয় লখনউয়ে শহরে এসে আরমান সম্পূর্ণ স্বাধীন কলেজের হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা শুরু হয় আরমানের। আরমান যেহেতু আগেই মেয়েদের সাথে ইন্টিমেট হয়েছে তাই তার বার বার ইন্টিমেট হতে ইচ্ছে করতো প্রথম প্রথম সে নিষিদ্ধ পল্লীর মেয়েদের কাছে গিয়ে নিজের  দৃঢ় চাহিদা কমাতো।কলেজ পড়ুয়া ছাত্রের কাছে খুব টাকা না থাকায় বেশীরভাগ সময়ে হস্তমৈথুন করে কাজ চালাতো। ( পাঠক মহলের জানার জন্য : অতিরিক্ত  সঙ্গমের ইচ্ছা নেশার মতো এমন অনেক বিশেষজ্ঞ আছেন যারা যৌন আসক্তিকে 'মাদকের নেশার সাথে তুলনীয়' বলে মনে করেন অণ্ডকোষ থেকে এন্ড্রোজেন এবং টেস্টোস্টেরন নামক হরমোন নিঃসৃত হয়। অল্পবয়সে এই হরমোনের ক্ষরণ বেশি হলে অপরিণত বয়সেই যৌন লক্ষণ প্রকাশ পায়। এটি হল যৌনসঙ্গম করার জন্য স্বাভাবিকের চেয়ে দৃঢ় চাহিদা।আর চাহিদা মিটাতে অপরিণত বয়সে সঙ্গম হস্তমৈথুন লিপ্ত হয় এবং  করে চরমানন্দ পাওয়া যায়, আর একারনে প্রাপ্ত বয়সে যোনসঙ্গমের ইচ্ছা কমে যায়।আর অতিরিক্ত হস্তমৈথুনের কারনে পুরঞ্জন ছোট নিস্তেজ হয়ে যায়  যাকে ইউফোরিয়া (Euphoria) বলে।) যত দিন যাচ্ছিলো ধীরে ধীরে আরমান লখনউয়ে নিজেকে গুছিয়ে নিলো। কলেজে পড়া অবস্থায় একটা শপে পার্ট টাইম জব শুরু করলো। আরমান তার পাশের কলেজের মেয়েদের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে তাদের সাথে ইন্টিমেট হতো। শপি কোন সুন্দরি মেয়ে আসলে তাদের সাথে লাইন তৈরি করায় ব্যস্ত থাকতো।  আর মেয়েরা অল্পতেই আরমানের প্রেমে পরে যেতো যেহেতু আরমানের বয়স অল্পছিলো দেখতে এক সুদর্শ পুরুষ মনে হতো। তাই আরমানে সুন্দরতার বসে অনেক মেয়েরা প্রেমে পড়তো। আরমানের দিন ভালোই কাটতো দিনে ৮-৯ বার ইন্টিমেট হওয়ার জন্য আরমান মাজে মাজে মেডিসিন নিতো। এক সময়ে আরমানের  স্কুলে চাকরী  হয় আরমান নিজের গ্রাম কানপুরে চলে আসে। তার বাবা মারা যায় পরিবারের দায়ীত্ব এসে পড়ে আরমানের কাঁধে।আরমান তখন নিজেকে সবকিছুর থেকে আলাদা করে ভদ্রা শান্ত,ব্যক্তিত্ববান পুরুষে পরিনত হয় তার আরমান এতো সব কিছুর মাঝে আরমানের বয়স বাড়তে থাকে আর আজ আরমান নিজের উশৃংখল জীবনযাপনের কারনে নিজের বউকে স্বামীর সুখ দিতে পারছে না। নিজের উপর নিজের ঘৃনা হচ্ছে ……………………………………………………………………………………………(চলবে)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন