রাত যতো গভীর হচ্ছে মালিহাকে দেখতে ততোই আকর্ষণীয় লাগছে।মালিহার এক পা এক পা করে আরমানের কাছে আসছে আরমান নার্ভাস হয়ে পরছে ঠিক কি ভাবে কি করবে বুঝে উঠতে পারছে না। কপালে বিন্দু্ বিন্দু্ ঘাম জমেছে।এসব দেখে মালিহা নিজের থেকেই তার একটি হাত বাড়িয়ে আরমানের হাত ধরে অন্যহাতে গলা জড়িয়ে আরমানের কোলে বসেলো।আরমানের বুক ধরপর করছে প্রথম বার সে মালিহার সাথে ঘনিষ্ঠ হবে। এ সময় আরমানের টেনশন করা উচিত না ডাক্তার বলে ছিলো রিলাক্সের সাথে ভালোবেসে টেনশন ফ্রি হয়ে কাছে যেতে না হয় ওষুধ কাজ করলে সঠিক ভাবে কাজ করবে না। এস টেনশন, ভয় ভীতি নিয়ে হয় না। আরমান সব ভেবে নিজেকে শান্ত করার চেষ্টা করে এবং লম্বা নিশ্বাস ফেলে মালিহার ঘাড়ে। মালিহার এই নিশ্বাসের শব্দ অন্যরকম লাগে। সে আরমানের মুখের দিকে তাকিয়ে চোখ বন্ধ করে ওষ্ঠপল্লব এক করে সমুদ্রের উচ্ছ্বাস ঢেউয়ের মতো এসে ভাসিয়ে দিলো আরমানকে। ওষ্ঠযুগলের ছোয়া পেয়ে আরমানের মন এক ঝড়ের পূর্বাভাস দিয়ে গেলো। এযেন তাণ্ডবলীলার পূর্বাভাস। মালিহা যেন তার মনের মাধুরী মিলিয়ে আরমানে ঠোঠে
চুম্বন করেই চলছে। আরমানও মালিহাকে আরো শক্ত করে জড়িয়ে কাছে নিয়ে নিলো। মালিহার প্রতিটি স্পর্শ একটু অন্যরকম লাগছিলো প্রতিবার স্পর্শে আলাদা আলাদা এক নতুন ভালো লাগার অনুভুতির জন্ম দিচ্ছিলো। আরমান মালিহার কানের কাছে মুখ নিয়ে ওকে বলতে লাগলো এমন অদ্ভুত ভালো আমার কখনও লাগে নি তোমার সাথে। আজ প্রথম বার এতো ভালোলাগছে বলেই মালিহাকে জড়িয়ে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে আস্তে আস্তে মালিহাকে সুতোবিহীন করে নিজের মনের মতো করে নিলো। আরমানের প্রতিটি স্পর্শ মালিহাকে অনুভব করতে লাগলো বিশেষ আকর্ষণ। ভীষণ উত্তেজনায় শরীর আরও গরম হয়ে উঠলো।মালিহা আরমানকে বুকের সাথে চেপে ধরল শক্ত করে। তখনই আরমানের বুক ধড়ফড় করে উঠলো মালিহার এমন উত্তেজনায়। আরমান আবারও ভাবতে লাগলে সে কি পারবে সুখের স্বর্গ থেকে ঘুরিয়ে আনতে মালিহাকে। হঠাৎ মায়ের গলার আওয়াজে সকল কল্পনা ও সুখের স্বর্গ থেকে ধরণীতে ফিরে এলো তারা।আরমানের মা তাদের দরজায় নক করছে আর ডাকছে। মালিহা উঠে ওয়াশ রুমে চলে গেলো আরমান নিজেকে গুছিয়ে নিয়ে দরজা খুলে দিয়ে দেখলো তার মায়ের অবস্থা খুব একটা ভালো না। দরজার সামনে বসে পড়েছে নিশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। আরমান মাকে ধরে খাটে শুইয়ে দিয়ে মালিহাকে ডেকলো মালিহা এসে এ অবস্থা দেখে ঘাবড়ে গেলো। কি করবে বুঝতে পারছিলো না। মালিহা শাশুড়িকে ধরে আরমানকে বললো পাশের বাড়ি করিমুদ্দিনকে তার ভ্যান গাড়িটি নেয়ে তাড়াতাড়ি ডেকে আনতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার জন্য যেই কথা সেই কাজ তাড়াহুড়া করে শেফালি বেগম কে নিয়ে সবাই হাসপাতালে এসেছে। এমার্জেন্সিতে থাকা ডাক্তার তাকে অক্সিজেন লাগিয়ে তৎক্ষণাৎ চিকিৎসা শুরু করে দিল। মালিহা আর আরমান রুমের বাহিরে চেয়ারে বসে আছে।
রুম থেকে ডাক্তার বের হতেই আরামান ও মালিহা সামনে দাড়িয়ে শেফালি বেগমের অবস্থা জানতে চাইলে যেন তাকে দেখানো হয়। এই বলে ডাক্তার চলেগেলো। বড় কোন একটা টেনশনের জেনে মাথা থেকে গেলো ডাক্তারের কথা শুনে। সারা রাতে হাসপাতালেই কেটে গেলো তাদের। সকাল বেলা মালিহার বাবার বাড়ি থেকে সবাই এলো দেখতে শেফালী বেগম কে। আরমান মালিহাকে বাড়ি থেকে ঘুরে আসতে বললো। ডাক্তার শেফালি বেগমকে কিছু খেতে নিষেধ করে গেলো। মালিহা আরমানের কথা মতো বাড়ি চলে আসলো। গোসল করে বিছানায় গা এলিয়ে দিয়ে মালিহা নিজেকে একটা রিপ্লেসমেন্ট ভাব দিলো। সারারাতে এতো দৌড়ঝাপের পরে। মালিহা শরীরে এলাতেই চোখ জোড়া নিজের থেকে বন্ধ হয়ে এলো এবং মালিহা ঘুমিয়ে পড়লো। হঠাৎ করে মালিহা ফোন বেজে উঠলো ঘুম ঘুম চোখে মালিহা ফোন হাতে নিয়ে দেখলো আরমান ফোন করেছে। মালিহা হ্যালো বলে ফোন কার কাছে নিলো ওপাশ থেকে আরমানের বলা কথাগুলো শুনে মালিহা যেন আতকে উঠলো ক্লান্তির ছাপ, ঘুম সব যেনও চলে গেলো।
.................................................................................................................................................চলবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন